কলকাতা: কসবায় আইন কলেজের ছাত্রীর গণধর্ষণের (Law College Student Molested) ঘটনার প্রতিবাদে সরব তৃণমূল। নির্যাতিতার পাশে থাকার আশ্বাস তৃণমূল নেতৃত্বর। এখনও কেন অপরাজিতা বিলে সই করলেন না রাষ্ট্রপতি, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তুললেন শশী পাঁজা (Shashi Panja)। গণধর্ষণের ঘটনায় প্রকাশ্যে আসতেই এদিন কলেজ এবং কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাঁদের অভিযোগ, বাংলায় নারী নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা নেই। পুলিশের প্রশংসা করে তৃণমূলের দাবি, ১২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন নিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ কলকাতার ল’কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Kasba Law College Student Molested) অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী তথা কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী মনোজিৎ মিশ্র-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা হল- প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং জায়েব আহমেদ। নির্যাতিতার অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় কলেজের ইউনিয়ন রুমের পাশের একটি বাথরুমে প্রথমে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তাঁকে জোর করে পাশের একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ছিল মনোজিত। বাকি দুই অভিযুক্তের নাম জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়। নির্যাতিতা তরুণীর আরও অভিযোগ, ঘটনার সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটা থেকে রাত ১০টা ৫০-এর মধ্যে কসবায় একটি আইন কলেজ চত্বরে ঘটে এই ঘটনা।
আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্ট তলব, দেখুন স্পেশাল রিপোর্ট
এই ঘটনায় গর্জে উঠেছে তৃণমূল। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, গোটা দেশে এমন নানা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে। কেউ কেউ এটাকে সংস্কারি বলে। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলায় কোনও ধর্ষককে মালা পরিয়ে, ফুল-মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় না। কোন রাজ্যে করা হয়, কোন রাজনৈতিক দল করে, তা সকলেই জানেন। তবে কসবার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শশী এও বলেন, নির্যাতিতা তরুণীকে সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। আইন ছাত্রীর উপর যারা বর্বর ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার পাশে আছি। তবে দোষ প্রমাণ হলে কড়া শাস্তি যাতে দেওয়া হবে। বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “অপরাধ হবে আর তা নিয়ে রাজনীতি হবে, এটা চলতে পারে না। সোশাল মিডিয়ায় কাটাছেঁড়া চলছে। তাঁদের কাছে আমার একটাই বক্তব্য, অপরাজিতা বিল বিধানসভায় ১০ মাস আগে পাশ হয়ে গিয়েছে। মানুষ দ্বারা নির্বাচিত বিধায়করা তাতে সায় দিয়েছেন। ওই বিল কে আটকে রেখেছে? রাজনীতি করার আগে উত্তর দিক বিজেপি। রাস্তায় বাঁদরামো করবেন না। তার চেয়ে বিল আগে পাশ করানোর চেষ্টা করুন। মহিলার শরীর রাজনৈতিক যুদ্ধের জন্য নয়। তা সম্মান করার।”
দেখুন ভিডিও