কলকাতা: রাজ্যে রমরমা জাল ওষুধের (Fake Medicines) কারবার। জাল ওষুধ বিক্রি রুখতে এবার ১৩৭ রকমের ওষুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের। ওষুধের নাম ও নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বর দিয়ে পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের নির্দেশিকা। এর পাশাপাশি জাল ওষুধ আটকাতে কয়েক দফা অ্যাডভাইসরি জারি করল রাজ্য সরকার। মূলত হোলসেলারদের জন্যই এই ধরনের বার্তা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বাজার থেকেও যেন তুলে নেওয়া হয় এই ১৩৭টি ওষুধ। যার মধ্যে রয়েছে অস্ত্রোপচারের পর ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন থেকে আই ড্রপ। যক্ষ্মা, কেমো এবং রেডিওথেরাপির পর শারীরিক অসুস্থতা নিরাময়ের ওষুধ, ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন। ফুসফুসের সংক্রমণ নিরাময়ের ওষুধ, খাদ্যনালী ও পেটের আলসার সারানোর মতো ওষুধ। গতকাল দেশজুড়ে গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল ১৯৮টি ওষুধ।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (State Health Department) তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ১৩৭ রকমের ওষুধকে বাতিল করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বিক্রেতাদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, তাঁরা যে সংস্থার কাছ থেকে ওষুধ কিনছেন তাঁদের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে কিনা তা যাচাই করার পরই যেন কেনে। এবং সেই লাইসেন্সের মেয়াদ কতদিনের তাও খতিয়ে দেখতে হবে। রাজ্যের বাইরের কোনও সংস্থার থেকে ওষুধ কিনলে অবশ্যই সেইসব সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস চেক করার নির্দেশও রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। একই সঙ্গে থাকতে হবে জিএসটি নম্বরও। ০০টি ওষুধের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলি কেনার আগে বাধ্যতামূলকভাবে কিউ আর কোড স্ক্যান করতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের মতে, নয়া বিধি নিষেধের ফলে রাজ্যের ওষুধের বাজারে জাল ওষুধ বিক্রি ও ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: কেরলে এক সপ্তাহ আগেই বর্ষা…
অন্য খবর দেখুন