কলকাতা: শহরে প্রবল বৃষ্টির ফলে কলকাতার বহু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জলমগ্ন হয়ে যায় বিধাননগর পুরএলাকাও। কোথাও কোথাও দুদিন আবার কোথাও কোথাও তিনদিন ধরেও জল জমে থাকতে দেখা যায়। বিধাননগর পুর এলাকার অন্তর্গত রাজারহাট সেক্টর ফাইভ এবং কলকাতা বিমানবন্দরের কিছু এলাকাও।
জল নেমে যাওয়ার পর সোমবার রাস্তার বিভিন্ন ম্যানহোল থেকে বিপুল পরিমান আবর্জনা বের করা হয়। যারমধ্যে প্রচুর ডাবের খোলা, প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেটের মতো জমা আবর্জনা বেরিয়ে আসে। ম্যানহোল পরিস্কার করতে নামানো হয় পুরসভার কর্মীদের। ম্যানহোলে নেমে আবর্জনা বের করে আনেন তাঁরা। পচে যাওয়া আবর্জনা বের হতেই দিনের বেলা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। নাকে রুমাল চেপেই চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীকে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জের, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে
রাজ্যের সেচ দফতর ও বিধান নগর পৌরনিগম যৌথভাবে এই খালগুলির পরিস্কার রাখার দায়িত্বে রয়েছে। অতীতে এই খালগুলি পরিষ্কার করা হতো, কিন্তু লাগাতার বর্ষার মরশুম চলায় এই খালগুলি পরিষ্কার করা হয় নি বলে পুরসভার তরফে এমনই দাবি করা হয়। তবে খালগুলি পরিষ্কার করার বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা হয়েছে সেচ দফতর , নগরায়ন দফতর এবং বিধাননগর পৌরনিগমের মধ্যে।
ম্যানহোল নিকাশির কাজ চলছে
বিধান নগরের বাসিন্দাদের একাংশের মতে বিধাননগরের লাগোয়া যে খাল রয়েছে সেই খাল নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। রাস্তা খারাপ হলে ওই খারাপ রাস্তার ওপর স্টোন চিপস এবং পিচ ঢেলে দেওয়ায় রাস্তার ম্যানহোলগুলি ভরাট হয়ে যায়। জোড়াতালি দিয়ে কোনওরকমে কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ বিধাননগরবাসীর। সুষ্ঠভাবে পরিষেবার জন্য পুর আধিকারিক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলদের আরও নজর দেওয়া দরকার বলে দাবি করেছেন বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, বিধান নগর পুরনিগমের প্রশাসনিক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, সম্প্রতি যে বৃষ্টিপাত হয়েছে এত বৃষ্টি অতীতে কখনও হয়নি। যার জেরেই এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরে দুবার করে ম্যানহোল গুলি পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই পরিস্থিতি দেখার পর ম্যানহোল পরিস্কারের জন্য আরও তিনটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাঁটু-জল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, গ্রামের বাড়িতেই ভ্যাকসিন
সেক্টর ১, সেক্টর ২ সেক্টর ৩, ও সেক্টর ৪ এলাকাগুলিতে নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। নতুন পাম্প বসানো হয়েছে সেন্ট্রাল পার্কে। নিকাশি ব্যবস্থার ওপর নজর রাখতে বিভিন্ন বোরো কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে।