যাদবপুরে কে? সামনে জায়েন্ট সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, হার নিশ্চিত। তবুও কে? সুব্রত বলেছিলেন, ‘মমতা, লড়াকু যুব নেত্রী, লড়াইয়ের মাঠ ছাড়বে না। হারবে কিন্তু লড়াইটা তো হবে।’ হাইকমান্ডের প্রার্থী তালিকা এল, যাদবপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেহালা থেকে যাদবপুর কমরেডরা হেসেই খুন, অ্যারিস্ট্রোক্রাট, ব্যারিস্টার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এটা একটা ক্যান্ডিডেট হল? তারপর তো ইতিহাস। আজকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সংসদীয় জীবনের শুরুয়াত ছিল সুব্রত’দার হাত ধরেই। তারপর সে হাত ছেড়েছেন বহুবার, জুড়েছেনও তার চেয়ে বেশিবার। ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ও বলেছেন, ‘বাংলার জননেত্রী’ও বলেছেন। সম্পর্কে অম্ল-মধুর-তিক্ত-কষা এর প্রত্যেকটা স্বাদ ঘুরে ফিরে এসেছে।
৬৭/৬৮/৬৯/৭০ বাংলার রাজনীতির ত্রয়ী সোমেন-প্রিয়-সুব্রত। এ রকমটা অনেকেই বলেন বটে, আসলে কিন্তু এটা এক মিথ। এদের মধ্যে সবথেকে বড় সোমেন’দা, ছোড়’দা নিজেকে শিয়ালদহ, উত্তর কলকাতা, বড় জোর কলকাতার বাইরে ছড়িয়ে দেবার কোনও তাগিদ সে সময় অনুভব করেননি। তিনি নিশ্চিন্ত ছিলেন তাঁর নিরাপদ গুহায়। সবচেয়ে ছোট সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বজবজের ছেলে, বাংলার বাইরে রাজনীতির পরিধিকে বাড়ানোর কথা ভাবেননি, বাংলা মায়ের দামাল ছেলে হয়েই থেকে যাবার ইচ্ছেটা সব সময় ছিল। দলের নির্দেশে বাঁকুড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন বটে, কিন্তু মন থেকে নয়। অন্য দিকে প্রিয়রঞ্জন কিন্তু শুরু থেকেই তাঁর নজর রেখেছিলেন দিল্লিতে। বাংলায় রাজনীতির শুরুয়াতেও তাঁর দিল্লির যোগাযোগ ছিল। যতটা ছিল, তারচেয়ে অনেক বেশি প্রচারও ছিল, নিজেই ছিলেন সেই প্রচারের কান্ডারি। দর্শন-প্রার্থীদের সামনেই টেলিফোন ঘুরিয়ে এআইসিসি নেতাদের যখন তখন ফোন করতেন, ও প্রান্তে নাকি হামেশাই কেউই থাকতো না। আর যেটুকু, সেটা ছিল প্রিয় সুব্রত’র, কারণ ছাত্র রাজনীতি। উল্টোদিকে বাম-ছাত্র-যুব নেতারা, বিমান বসু, সুভাষ চক্রবর্তি, শ্যামল চক্রবর্তি, অনিল বিশ্বাস। বুদ্ধবাবু তখন কফি হাউসেই থাকেন। প্রিয়-সুব্রত-সোমেন কেউই কফি হাউসে যেতেন না। প্রিয়রঞ্জন দক্ষিণ কলকাতা কফি হাউসে যেতেন। তাঁর পত্রিকা ছিল, ‘দক্ষিণী বার্তা’। এ সবের ধারে কাছেও ছিলেন না সোমেন বা সুব্রত।
আরও পড়ুন : বিকেল ৪.৫২, প্রিয়-সোমেনের দেশে মিলিয়ে গেলেন সুব্রত
অন্যদিকে প্রিয় আর সুব্রত ছিলেন কংগ্রেসের মধ্যে বাম অবস্থানে রাখা নেতা। প্রিয়রঞ্জন ছিলেন দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের শিষ্য। আর সুব্রত রাজনীতি জীবনের প্রায় শুরু থেকেই ট্রেড ইউনিয়ন নেতা। অন্যদিকে সোমেন ওসব পন্থা ইত্যাদির ধারও ধারতেন না। মজার কথা হল এদের মধ্যে সব থেকে আগে ছোটজন, সুব্রত’দা বিধায়ক হলেন, সংসদীয় রাজনীতিতে এলেন সবথেকে আগে, একাত্তরে। বাহাত্তর সালে ২৬ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ মন্ত্রিসভার মন্ত্রী। সেই বছরেই পার্লিয়ামেন্টে গেলেন প্রিয়’দা। তিনিও জায়েন্ট কিলার, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের নেতা, সিপিআইএম ক্যান্ডিডেট গণেশ ঘোষকে হারিয়ে। সবথেকে পরে সংসদীয় জীবনে এলেন ছোড়’দা, ৩১ বছর বয়সে, ওই বাহাত্তরেই। তিন জনেই ৭৭ সালের ভোটে হেরেছিলেন, সেই হারের পরেও ছোড়’দা আর সুব্রত কংগ্রেস ছাড়েননি। প্রিয়রঞ্জন শুধু ছেড়েছিলেন নয়, ইন্দিরা আর সিদ্ধার্থর বিরোধিতা করেছিলেন। বাংলা জুড়ে সেই ভাষণ অনেকের মনে আছে, ‘আমার নামে কুকুর পুষবেন, যদি আমি আবার কংগ্রেসে ফিরে যাই।’ সুব্রত ট্রেড ইউনিয়ন আঁকড়ে বসেছিলেন। সোমেন মিত্র শিয়ালদহ। বেশিদিন নয়, আবার সব্বাই কংগ্রেসে। কিন্তু ততদিনে শিবির, কংগ্রেসি ভাষায় লবি আলাদা হয়ে গেছে, সমর্থক বা ক্যাডাররা আলাদা হয়ে গেছেন, সে বিরোধ মেটেনি শেষ দিন পর্যন্ত। চেতলার পুজো, দক্ষিণী বার্তা, একডালিয়া এভার-গ্রিন আর কলেজ স্কোয়ারে সন্ধি পুজো হয়েছে, সন্ধি হয়নি। তবুও মিথ ইন্দিরার তিন পুত্র, সোমেন-প্রিয়-সুব্রত।
এই ত্রয়ীর মধ্যে সবথেকে বর্ণময় জীবন ছিল সুব্রত’দার। প্রিয়’দা শার্ট প্যান্ট, চোস্তা, পাঞ্জাবী, কোট-টাই সবেতেই অভ্যস্ত ছিলেন, দেশে বা বিদেশে। ছোড়’দা ধুতি-পাঞ্জাবী আর সাদা চপ্পল, এর বাইরে যাননি। সুব্রত দেশে পাঞ্জাবী, ধুতি, পায়জামা। বিদেশে শার্ট, প্যান্ট, কোট। ট্রেড ইউনিয়ন, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন আইএলও-র কাজে সারা পৃথিবী ঘুরেছেন, ঘুরতে ভালবাসতেন, ঘোরার নেশা বরাবরের। প্রিয়’দা কাজে বাইরে গিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, কিন্তু বেড়ানো নিয়ে তেমন ভালবাসা ছিল না। সোমেন’দা-র ছিল শিয়ালদহ আর দিল্লিতে ভগত সিং মার্গে ক্যালকাটা লজ, ব্যস। সুব্রত’দা সময় পেলেই বেড়ানোর গল্প বলতেন, বলেছিলেন ট্যারেন্টুলার গল্প। অ্যামাজনে হোটেলের টয়লেটে ঢুকে দরজা বন্ধ করার পর দেখেছিলেন ট্যারেনটুলা। কোনওরকমে বের হতে পেরেছিলেন। আরও কত গল্প, প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের মাথায় চড়ার গল্প, সেখানে কফির দাম শুনে না খেয়ে নেমে আসার গল্প। আড্ডাবাজ মানুষটা বেড়ানোর গল্প শুরু করলে থামতেই চাইত না। রাজনীতির বাইরে এক অন্য মানুষ।
আরও পড়ুন : বইটা আর সুব্রতদার হাতে তুলে দেওয়া হল না… গলা ধরে এল পার্থর
পুজোর ব্যাপারে কনজারভেটিভ, আমারা দুর্গা পুজো করি, ওসব সাবান ভাঁড়, চটি জুতো, তুলো, বালি দিয়ে ঝুলন-যাত্রা করি না। কোনও অনুকরণের প্যান্ডেল নয়, সুন্দর প্যান্ডেল আর মধ্যে বিশাল ঝাড়বাতি, সুব্রতদা দূরে চেয়ারে বসে আড্ডা দিচ্ছেন, পরিচিত ছবি। সেই কবে, সোমেন’দা-র বাড়িতে সুব্রত’দা-র সঙ্গে আলাপ। সাঁতার কাটি, সেই সুত্রেই সোমেন’দা-র ওখানে যাওয়া আসা। আবার বাম ছাত্র রাজনীতিও করি। তো প্রথম আলাপেই গান্ধী নিয়ে কথা বার্তা। সুব্রত’দা বলেছিলেন, ‘বাব্বা, মাকু পার্টির ছেলে, গান্ধী নিয়ে এত কথা, আমাদের দলে চলে আয়।’ সোমেন’দা কিন্তু কখনও এরকম প্রস্তাব দেননি, দিতেন না। আর ছিল ভূতের ভয়, প্রবল ভূতের ভয়, সবাই জানতো। মুর্শিদাবাদে হাজাদুয়ারিতে ভূত আছে, মিরিকের বাংলোয় ভূত আছে, এসব গল্প করতেন সুব্রত’দা। কিছুদিন আগে মুকুল রায় যখন আবার তৃণমূলে এলেন, সেই দিন আমি মুকুল’দা আর সুব্রত’দা বসেছিলাম। সেদিন সুব্রত’দা রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ভূতের গল্প বলছিলেন, সিরিয়াসলিই বলছিলেন, ওখানে নাকি ভূত আছে। অতৃপ্ত আত্মারা ঘুরে বেড়ায় রাইটার্সের করিডোরে। আমি বলেছিলাম ‘মন্ত্রী না হতে পেরে?’ হেসেছিলেন, বলেছিলেন, ‘যেও কোনওদিন সন্ধের পরে’। সুব্রত’দা অবশ্য অতৃপ্ত ছিলেন না, তাঁর মন্ত্রী হবার রেকর্ড এখনও অটুট। ২৬ বছরে রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সুব্রত’দা সিদ্ধার্থ মন্ত্রিসভার তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে জরুরি অবস্থার সেন্সরশিপ এর প্রশ্ন উঠলেই এড়িয়ে যেতেন, বিব্রত হতেন। আর কথা বলতেন না চারু মজুমদারের মৃত্যু নিয়ে। মারা যাবার আগে লক-আপে তিনি নাকি চারুবাবুকে দেখতে গিয়েছিলেন। কেমন ছিলেন তিনি? না, সুব্রত’দা এ নিয়ে কথা বলতে চাইতেন না। এড়িয়ে যেতেন।
ব্যবহারেও তিন জন তিন রকম। সোমেন’দা কম কথা বলেন, শোনেন। যা বলার বলে তাঁর সাকরেদরা। প্রিয়’দা প্রচুর বলেন, অনৃতভাষণে পোক্ত। এয়ারপোর্টে সন্ধে সাতটায় দেখা হবে বলার পর অনেকেই নাকি হাওড়া রেল স্টেশনে চলে যেতেন। সুব্রত’দা-র এসব ছিল না। মুখের ওপর সত্যি-মিথ্যে, নরম-শক্ত, ভালো-মন্দ সটান বলে দিতেন। নিজেই বলতেন, ঝোলানোর রোগ ছিল না। তবে রগচটা তো ছিলেন, তিনজনের মধ্যে সবথেকে বেশি রগচটা। সেই কবে, কুন্ডু কোম্পানির ট্রাভেলসে গিয়েছিলেন, সম্ভবত শ্বশুর শাশুড়ি, খুব বাজে ব্যবস্থা ছিল। ট্রাভেল কোম্পানির দপ্তরের প্রতিটা চেয়ার ভাঙা হয়েছিল, মার খেয়েছিল কর্মচারিরা। সুব্রত’দা নিজেই হাজির ছিলেন। মেয়র হওয়ার ফর বাড়ি ফিরছেন। ধর্মতলা চত্বরে একজন খোলা রাস্তায় হিসি করছিলেন। গাড়ি দাঁড় করিয়ে, যতদূর মনে পড়ছে, পুলিশের লাঠি নিয়ে দিয়েছিলেন ঘা কতক। পিছনে সাংবাদিকদের গাড়ি, ধারও ধারেন নি।
সাংবাদিকদের সঙ্গেও ব্যবহারে তিনজন তিন রকম। প্রিয়’দা-র পেয়ারের সাংবাদিক ছিল, সাংবাদিকদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখার চেষ্টাও করতেন। সোমেন’দা-র ওসব বালাই ছিল না। সুব্রত’দা-র হাতে গোনা কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বাকিদের সঙ্গেও অনায়াসে কথা বলতেন, সটান কথা বলতেন, আর বললেই সেগুলো খবর হত। একটা ইন্টারভিউতে একজন দলবদল নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তখন সবে তিনি হঠাৎ করে সিঙ্গুরে মমতার সভায় গিয়ে হাজির হয়েছেন। তিনি তখন কংগ্রেসে, প্রশ্ন ছিল ‘আবার দলবদল?’ বলেছিলেন, ‘ভাই আমি রামকৃষ্ণ মঠের সন্ন্যাসী নই, রাজনীতি মানেই ক্ষমতা, ক্ষমতায় থাকতে গেলে যা যা করতে হয় তাই করবো। দল বদলালে আপনাকে জানাবো, ফোন নম্বরটা রেখে যান।’ প্রায় ওই সময়ে আরেকজন সাংবাদিক টিভি ইন্টারভিউতে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘দু’-নৌকোয় পা দিয়ে চলছেন’? সুব্রত’দা-র উত্তর ‘সিপিএমকে হারাতে দুই কেন? ১০০টা নৌকায় পা রাখতেও আমার আপত্তি নেই।’ এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ‘শেষ পর্যন্ত আবার মমতা?’ সুব্রত’দা বলেছিলেন, ‘মমতার সমর্থন না থাকলে এমএলএ ছাড়ো, কাউন্সিলরও হতে পারবো না, তাই মমতা।’ একদা ক্যাডার, ফলোয়ার মমতাকে জননেত্রী বলার মধ্যে কোনও হিপোক্রেসি কাজ করেনি, তিনি ওটা মনেই করতেন। সোমেন সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘ওসব গুন্ডা মাস্তান নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেবো না।’ কিন্তু সোমেন’দা মারা যাবার পরে ফোন করেছিলাম, দেখলাম, মন খারাপ। বলেছিলেন, ‘কৌস্তুভ, কংগ্রেসের এই প্রজন্মটাই শেষ হয়ে যাচ্ছে, যারা আছে, তারা কি আদৌ কংগ্রেসি?
বামপন্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক বরাবরই ভালো ছিল, তার প্রধান কারণ ছিল ট্রেড ইউনিয়ন। বিভিন্ন ক্রাইসিসে বাম নেতারা সুব্রত’দা-র কাছে আসতেন, খালি হাতে ফিরে যেতেন না। সেসব সম্পর্ক কিছুটা ছিল প্রকাশ্যে, কিছুটা আড়ালে। অপারেশন সানসাইন চলছে, উত্তর কলকাতায় সুভাষ চক্রবর্তি, নেপাল ভট্টাচার্য। দক্ষিণ কলকাতায় কান্তি গাঙ্গুলি। গড়িয়াহাটে বুলডোজার আসবে। মমতা এসে গেলে সর্বনাশ, রণক্ষেত্র হয়ে যাবে। সেদিন ভাঙা হয়েছিল গড়িয়াহাটের হকার গুমটি, দোকান। মমতা আসার আগেই অপারেশন ফিনিস, কান্তি’দা, সুব্রত’দা-র কথা হয়েছিল? হ্যাঁ হয়েছিল। এই এপিসোডের পর তরমুজ বৃত্তান্ত শুরু হয়। সুব্রত’দা বলেছিলেন, ‘ভালই তো যৌবনের সবুজ আর রক্তের লাল রং, খারাপ কি?’ দীর্ঘ আলাপ, সম্পর্কের পর আজ মনে হয়, সত্যি মানুষটার ওপরটা ছিল উচ্ছল, উচ্ছাস আর যৌবন মাখা, ভেতরটা ছিল গাঢ় গভীর, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এক মানুষের। বজবজের ছেলে, কলকাতার অন্যতম সফল মহানাগরিক উপরে সবুজ, ভেতরে লাল ছিলেন, তরমুজ ছিলেন, মিষ্টি তরমুজ। ২০০১, সুব্রতদা’র ধারণা সিপিএম হারছে, নির্বাচন শেষ, রবীন দেব, আমি আর কয়েকজন বসে আছি, সুব্রত’দাকে ফোন করলাম, ‘কী হবে?’ বলেছিল, ‘আমরা আসছি।’ কিছুদিন পরে পুরসভায় দেখা, জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী হল? আমরা আসছি, কোথায়?’ সুব্রত’দা, ‘আরে বাবা আসছি বলেছিলাম, কোথায় আসছি, সেটা কি বলেছি?’ হাজির জবাব।
আরও পড়ুন : মন্ত্রী সুব্রতকে এ ভাবে দেখতে চাইনি, স্মৃতিচারণ ফুটবলার সুব্রতর
আজ তিনজনেই পরপারে। পরপার বলে যদি কিছু থাকে, সেখানে মজলিশি আড্ডায়, সুব্রত’দা কোথায় বসবেন? জমাটি আড্ডা হবে তিনজন মিলে, সুব্রত’দা বসবেন প্রিয়, সোমেনের সঙ্গে? সুভাষ, শ্যামল চক্রবর্তির সঙ্গে? নাকি জ্যোতি বসুর কাছেই গিয়ে বসবেন? সুব্রত’দা-র ভাষায়, ‘যার সঙ্গে কথা বলতে ভাল লাগে, লোকটা প্রাকটিকাল, বুঝলে? আর মমতা? আরে মমতা প্রাকটিকাল নয়, ওটাই ওর প্লাস পয়েন্ট, আমাদের মত প্রাকটিকাল লোকজন অনেক ছক কষে। মমতা যা করে মন থেকে করে হৃদয় থেকে করে’, এই কিছু দিন আগে সুব্রত’দাই বলেছিলেন।