কলকাতা: তিনদিন আগে পিতৃবিয়োগ হয়৷ মন খারাপ ছিলই৷ তার উপর কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চেয়েও তা মঞ্জুর না হওয়ায় হতাশা বেড়ে যায়৷ রাগে, ক্ষোভে এবং হতাশা থেকে শনিবার গুলি চালায় সিআইএসের জওয়ান৷ ভরসন্ধেয় পরপর সেই গুলির শব্দে হুলুস্থুল পড়ে যায় পার্কস্ট্রিটের জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায়৷ জাদুঘরের পাশের কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের কাছেই সিআইএসএফের ব্যারাক৷ এদিন সেই ব্যারাকেই চলে গুলি৷ তাতে মৃত্যু হয় এক সিআইএসএফের জওয়ানের৷ আহত হন রাজ্য পুলিসের এক আধিকারিকের৷ আততায়ীকে ধরতে অভিযানে নামে কলকাতা পুলিস৷ দেড়ঘণ্টার অভিযানের পর অবশেষে পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এ কে মিশ্র নামে ওই জওয়ান৷
জানা গিয়েছে, এ কে মিশ্রর বাড়ি ওড়িশায়৷ তাঁর গুলিতে যাঁর মৃত্যু হয়েছে সেই রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গির বাড়িও ওড়িশাতে৷ দু’জনেই একসঙ্গে জাদুঘরের ব্যারাকে থাকতেন৷ মনে করা হচ্ছে, ছুটি নিয়ে দু’জনের মধ্যে গণ্ডগোল হয়৷ তারপরই মেজাজ হারিয়ে কাছে থাকা এ কে ৪৭ বন্দুক থেকে গুলি চালান এ কে মিশ্র৷ তাঁর গুলিতে জখম হন রাজ্য পুলিসের এক আধিকারিক সুবীর ঘোষ৷ অন্যদিকে মৃত্যু হয় রঞ্জিতের৷ এদিন ধরা পড়ার পর সিআইএসএফের কনস্টেবল মিশ্র পুলিসকে জানান, এক পদস্থ কর্তা তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করত৷ মাঝেমাঝে দুর্ব্যবহারও করত৷ তাই রাগ জমেছিল মনে৷ তারপর কাজের চাপ ছিলই৷ সম্প্রতি বাবা মারা যাওয়ায় ছুটিও পাননি৷ সব মিলিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন৷ তাই গুলি চালান৷