কলকাতা: বুধবার, একুশে জুলাই৷ তৃণমূলের শহিদ দিবস৷ ১৯৯৪ সাল থেকে এই দিনটি শহিদদের উদ্দেশ্যে পালন করে আসছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই শহিদদের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমবেদনা জানালেন তৃণমূলের কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শহিদ কারা?
আরও পড়ুন: ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে, লাইক-শেয়ারে ১১ দফা নির্দেশিকা তৃণমূলের
১৯৯৩ সাল। সেই সময় বামফ্রন্টের জমানা। জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী। চারদিকে অভিযোগ উঠছে ভোটের রিগিং এর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনও তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেননি। কংগ্রেসেই আছেন। ২১ শে জুলাই ‘নো আইডেন্টি কার্ড নো ভোট’ স্লোগানকে সামনে রেখে তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘মহাকরণ অভিযান’ এর ডাক দিয়েছিলেন। অভিযানে বাম সরকারের পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর। আহত হয়েছিলেন প্রায় শতাধিক। লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পঙ্কজ ব্যানার্জির মত প্রথম সারির নেতারা। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকেই এই দিনটি মৃতদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: দর্শকদের প্রবেশ বন্ধ লালকেল্লায়
এদিন তাঁদের শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেন, তৃণমূলের কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘সে দিনের স্মৃতি আজও আমাদের মধ্যে টাটকা। তৎকালীন সরকারের দায়িত্বহীনতায় ১৩ জন সৈনিককে হারিয়েছিলাম। সেই সব হিরোদের উদ্দেশ্যে আমার আন্তরিক সম্মান জানালাম।’ করোনা আবহাওয়ায় এ বছর তৃণমূলের ২১ জুলাই শহিদ দিবসের সমাবেশ হচ্ছে ভার্চুয়ালি। এদিন ধর্মতলায় শহিদ বেদিতে মাল্যদানের পর ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।