কলকাতা: বুধবার ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়ে ছিল মহেশতলা (Maheshtala)। ভাঙচুর করা হয় স্থানীয় বাড়িগুলিতে। রবীন্দ্রনগর থানার (Rabindranagar Police Station) সামনেই পুলিশের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পাথর ছুড়ে ভাঙা হয় পুলিশের গাড়ির কাচও। দুষ্কৃতীদের ছোড়া পাথরের ঘায়ে আক্রান্ত পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। তাতেও প্রথমে লাভ হয়নি কিছু। নামনো হয়েছিল ব়্যাফ। সেই ঘটনার পর কেয়কঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেও থমথমে পরিবেশ মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকায়। নতুন করে যাতে অশান্তি না ছড়ায় তাই এলাকায় তোমায়েন করা অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। অলিগলিতে চলছে পুলিশের রুট মার্চ। ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে গতকালই কলকাতা পুলিশ চোদ্দ জনকে গ্রেফতার করেছিল। আর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষ থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যেতে চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অনুমতি এখনও মেলেনি।
বুধবার সকালে আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় ফলের দোকান বসানো নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। প্রথমে বচসা বাঁধে পরে তা হাতাহাতির পৌঁচ্ছায়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি তারপরে চরমে পৌঁছায়। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় শুরু হয় ভাঙচুর, পাথরবৃষ্টি। একাধিক বাড়ির ছাদের উপর থেকে ঢিল ছোঁড়া হয়। থানার সামনে বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উন্মত্ত জনতার ছোঁড়া পাথরে আক্রান্ত পুলিশ। পাথর ছুড়ে ভাঙা হয়েছে পুলিশের গাড়ির কাচ। ইটের আঘাতে মহিলা কনস্টেবলের মাথা ফাটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে পুলিশ। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ-সহ পুলিশের শীর্ষকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
আরও পড়ুন: ফের স্কুল ছুটির ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর, কারণ কী, দেখুন বড় খবর
মহেশতলায় অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। মহেশতলায় সিআরপিএফ মোতায়েন ও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু। মহেশতলায় যেতে চান শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য পুলিশের DG ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে ই-মেল পাঠালেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে একাধিক দোকানপাট। এলাকাজুড়ে জারি রয়েছে ১৬৩ ধারা। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। নাদিয়াল থানায় চারটি এফআইআর হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানায় দায়ের হয় ৩টিএফআইআর। জেলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার আরও ২৮ জন। সবমিলিয়ে ইতিমধ্য়ে ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে এদিনের অশান্তিকে কেন্দ্র করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিজেপি।
অন্য খবর দেখুন