কলকাতা: রাজ্যে ২২০৮ বুথে সব এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form ) জমা পড়েছে জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। জেলাশাসকদের খতিয়ে দেখতে নির্দেশ। আগামিকালের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ।রাজ্যের দু’হাজারেরও বেশি বুথে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত ভোটার নেই! নেই একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারও। হিসাব দিয়ে জানাল নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ২২০৮টি বুথে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে ২ হাজারের বেশি বুথে মেলেইনি মৃত ভোটার। রাজ্য এনুমারেশন ফর্ম যাচাইয়ের পরই জানা গিয়েছে, ২২ জেলার ২ হাজার ২০৮টি বুথে নেই কোনও মৃত ভোটার।স্থানান্তরিত কিংবা একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-পদে নিয়োগের আবেদনপত্রের সময় বাড়াল এসএসসি
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাইশ জেলার মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেই জেলার ৭৬০টি বুথে মেলেনি কোনও মৃত ভোটার। অর্থাৎ যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের কি নাম কাটানো হয়নি? উঠছে প্রশ্ন। এরপর নাম রয়েছে পুরুলিয়ার। তারপর মুর্শিদাবাদ। এরপর রয়েছে মালদহ। তারপর নদিয়া। একেবারে শেষের দিকে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর কলকাতা এবং পশ্চিম বর্ধমান। কমিশনের হিসাব বলছে, এই ২২০৮টি বুথ ছাড়াও রাজ্যে এমন বহু বুথ রয়েছে যেখানে হাতে গোনা কয়েকটি এনুমারেশন ফর্ম ফেরত আসেনি। বাকি প্রায় সমস্ত ফর্মই জমা পড়েছে। একটি মাত্র ফর্ম ফেরত আসেনি এমন বুথের সংখ্যা ৫৪২। দু’টি ফর্ম জমা পড়েনি এমন বুথ রয়েছে ৪২০টি। প্রসঙ্গত, রবিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এসআইআর-এর প্রক্রিয়াগুলি সাত দিন করে পিছিয়ে দিয়েছে। আগে বলা হয়েছিল, ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এখন সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ১১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। তার পর ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে খসড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার কাজ।
অন্য খবর দেখুন