ওয়েবডেস্ক: ফের জটিল অস্ত্রোপচারে (Rare operation) সাফল্য কুড়িয়ে নিল কলকাতার এসএসকেএম (SSKM)। চিকিৎসকেরা একটি বিরল স্টেন্ট গ্রাফটিং অপারেশন (Stent grafting operation) সম্পন্ন করলেন। পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম এই অপারেশন সাফল্যের সঙ্গে করে নজির গড়ল SSKM।
জানা গেছে, একজন ৬৬ বছর বয়সী রোগীর মহাধমনীর একটি ছিঁড়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন চিকিৎসার জন্য। সেই ছিঁড়ে যাওয়ার অংশ মেরামত করার জন্য এই নতুন স্টেন্ট গ্রাফটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে রোগীকে নতুন জীবন দিলেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিরল স্টেন্ট গ্রাফটিং অপারেশন সম্পন্ন করতে চিকিৎসকেরা একটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন, যা পূর্ব ভারতে এই প্রথম। এই পদ্ধতিতে, রোগীর শরীরের একটি বিশেষ অংশে স্টেন্ট বসিয়ে মহাধমনীর ছিঁড়ে যাওয়া অংশ মেরামত করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারে পর রোগী এখনও চিকিৎসাধীন হলেও, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি, বিপদমুক্ত।
এই পদ্ধতির সফল প্রয়োগ এটাই প্রমাণ করে যে, জটিল হৃদরোগের ক্ষেত্রেও নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে রোগীদের সুস্থ করা সম্ভব। ফলে এসএসকেএম-এর এই অভাবনীয় সাফল্যে চিকিৎসা বিজ্ঞান নতুন করে আশার আলো দেখছে।
আরও পড়ুন: কোন কোন জেলায় তাপপ্রবাহ? দেখুন বড় আপডেট
তবে বেসরকারি হাসপাতালে এই ধরনের অস্ত্রোপচারের খরচ ২০ লক্ষ টাকা। সেখানে সম্পূর্ণ নিখরচায় সরকারি হাসপাতালে এই অপারেশন করা সম্ভব হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৬৬ বছয় বয়সি রোগী শাহামিনা বিবি বুকে ব্যথা নিয়ে এসএসকেএম -হাসপাতালে আসেন। পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান মহাধমনীর ভিতরের একটি ছিঁড়ে গেছে, কারণ এটি মহাধমনীর স্তরগুলির মধ্যে রক্ত প্রবাহিত হতে সাহায্য করে, যার ফলে যদি তারা পৃথক হয়ে যায় তাহলে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে রক্ত প্রবাহ ব্যাহত হয়। এতে মহাধমনী ফেটে যেতে পারে বা হৃদরোগের ঝুঁকি আছে। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন।
সরোজ মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি কার্ডিওলজি দল, সিনিয়র রেসিডেন্ট সায়ন্তন পান্ডা এবং শুভেন্দু মহাপাত্র সহ সিটিভিএস টিম, TEVAR (থোরাসিক এন্ডোভাসকুলার অ্যাওর্টিক রিপেয়ার) নামে পরিচিত পদ্ধতির মাধ্যমে পেটে একটি ছেদন করেন। বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল জানিয়েছেন, আমরা প্রতি মাসে মহাধমনীর অপারেশনের জন্য দু থেকে তিনটি স্টেন্টিং পদ্ধতি কার্যকরি করি। কিন্তু এক্ষেত্রে রোগীর ফেমোরাল ধমনী খুব সরু ছিল, ফলে এই পথটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
চিকিৎসক শুভেন্দু মহাপাত্র জানিয়েছেন, এই অপারেশন সফল হয়েছে, রোগী সুস্থ আছেন। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর-