ব্যারাকপুর: কামারহাটিতে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ার কারণ কলেরা (Cholera)৷ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (Sagar Dutta Medical College) থেকে যে নমুনা নাইসেডে (NICED) পাঠানো হয়েছিল তাতে মিলেছে কলেরার জীবাণু৷ এর পরই আতঙ্ক আরও জাঁকিয়ে বসেছে৷ পুরসভার জল খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন অধিকাংশ বাসিন্দা৷ এখন বোতলবন্দি জলই ভরসা৷ এলাকাবাসীর বদ্ধমূল ধারণা, পুরসভার জল থেকেই ছড়িয়ে পড়ে ডায়রিয়া৷ সেই জলেই ছিল কলেরার জীবাণু৷ যদিও পুরসভা সূত্রে খবর, যে রিজার্ভার থেকে জল বাড়ি বাড়ি পাঠানো হয় সেটির ক্লোরিনেশন করা হয়েছে৷ সমস্ত জলের ট্যাঙ্কে জিওলিন দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু আতঙ্ক কাটছে না সাধারণ মানুষের৷
আরও পড়ুন: স্কুল খোলার শর্ত বাচ্চাদের ভ্যাকসিন নয়, শিক্ষক-অভিভাবকদের টিকা বেশি জরুরি: কেন্দ্র
গত কয়েকদিন ধরেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েই চলেছে কামারহাটিতে৷ ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে ডায়রিয়া৷ পেটে ব্যথা এবং বমির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন বহু মানুষ৷ দু’জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে৷ এখনও অবধি যা জানা গিয়েছে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ডায়রিয়া আক্রান্তদের৷ এর বাইরে এলাকায় খোলা হয়েছে স্বাস্থ্য শিবির৷
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ৷ ফাইল ছবি৷
করোনার মধ্যে এখন ডায়রিয়া আতঙ্কে ভুগছেন কামারহাটির মানুষ৷ যেভাবে হই চই শুরু হয়েছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে পুর-প্রশাসনেরও৷ এই পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি পুর কর্মীদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কামারহাটি পুরসভা৷ ঠিক হয়েছে, বাড়ি বাড়ি যাবেন পুর কর্মীরা৷ গিয়ে দেখবেন আর কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত কিনা৷ এতে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা জানা যাবে৷ পাশাপাশি, এলাকাবাসীর হাতে তুলে দেবেন হ্যালোজেন ওষুধ এবং ওআরএসের প্যাকেট৷ প্রয়োজনে তাঁদের সচেতন করবেন পুর কর্মীরা৷ দেবেন নানা পরামর্শ৷
আরও পড়ুন: চিনা মাঞ্জা আটকাতে মা ফ্লাইওভারে বসছে জাল, যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ
অন্যদিকে নাইসেডে যে নমুনা পাঠানো হয়েছিল তাতে কলেরার জীবাণু মিলেছে৷ যার মানে কামারহাটিতে ভয়ঙ্কর ভাবে যে ডায়রিয়া ছড়িয়েছে তার কারণ কলেরা৷ ৯টির মধ্যে ৩টি নমুনাতে কলেরার জীবাণু মিলেছে৷ তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এটাকে ঠিক ক্লাসিক্যাল কলেরা বলা যাবে না৷ তবে ডোক্সিসাইক্লাইন, নোরফ্লোক্সিন, সিপ্রোফ্লোক্সিনের মত ওষুধ খেলে তাতে কাজ দেবে৷