কলকাতা: প্রচন্ড বৃষ্টি ও ধসের কারণে উত্তরাখণ্ডে আটকে গেল রাজ্যের ১৪ জন পর্যটক। সপ্তমীর দিন বাগুইআটি জ্যাংড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণ কুমার গোস্বামী ও তাঁর বেশ কয়েকজন সহকর্মী উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে বেড়াতে যান। আগামীকাল বুধবার তাঁদের ফেরার কথা ছিল। সে মত সোমবার তাঁরা পাহাড় থেকে ফিরছিলেন৷ কিন্তু, সে সময় বৃষ্টির জেরে ধস নামে উত্তরাখণ্ডের কাঁচিধামে। সেখানেই আটকে পড়েন তাঁরা। গাড়ি থেকে কোনও ক্রমে বেরিয়ে আসেন কৃষ্ণ কুমার গোস্বামী ও তাঁর সহযোগী সিতানাথ কারা। কিন্তু বাকি সদস্যদের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না তারা। কৃষ্ণ কুমার গোস্বামীর পরিবার যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে।
এ দিকে কেদারনাথে বেড়াতে গিয়ে ধসে আটকে পড়লেন হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়ো শিবতলার বাসিন্দা চুমকি রায় ও তাঁর পরিবার৷ দুদিন ধরে জল, খাবার না পেয়ে সমস্যায় পরেছেন তাঁরা। সেখানে কোনও সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তাঁরা জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড় বইছে৷ ফলে উদ্ধার কাজে বাধা পাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। কেদারনাথে যে হেলিকপ্টার সার্ভিস ছিল তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার পর্যটক আটকে রয়েছেন কেদারনাথে।
আরও পড়ুন-নৈনিতালে প্রবল দুর্যোগ, কীভাবে উদ্ধার ৩৬ জন? ভাইরাল ভিডিও
গত ১৫ অক্টোবর পূর্বা এক্সপ্রেসে রওনা হয়ে ১৭ তারিখ কেদারে পৌঁছন চুমকি রায় ও তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ রায় এবং তাঁদের মেয়ে অন্বেষা। তাঁদের সঙ্গে আরও দুজন অরিজিৎ শীল ও সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন। ভারী বৃষ্টি আর ঝড় শুরু হতেই ধস নামে পাহাড়ে। অরিজিৎ ও সত্যব্রতবাবু ঝুঁকি নিয়ে গৌরীকুন্ডে নেমে চলে আসতে পারলেও চুমকি দেবীর পরিবার নামতে পারেনি। চুমকিদেবী কেদারনাথ থেকে বদ্রীনাথ গুপ্তকাশি হয়ে লক্ষ্ণৌ পৌঁছে আগামী ২৪ তারিখ ফেরার কথা ছিল।