কলকাতা: ১৩ বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি আন্দোলনের জন্য সিঙ্গুর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল টাটারা৷ তৎকালীন বিরোধী নেত্রী আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ ক্ষমতায় বসার পর দেশের শিল্প মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গকে তুলে ধরতে চেষ্টার কোনও কসুর করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাও সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতি মাঝে মধ্যেই তাড়া করে বেরায় সরকারকে৷ তবে রাজ্য সরকারের কাছে সিঙ্গুর এখন অতীত৷ কর্মসংস্থান বাড়ানোই সরকারের লক্ষ্য৷ তাই রাজ্যে বিনিয়োগে টাটারা যদি কোনও প্রস্তাব নিয়ে আসে তাহলে খুশিই হবে সরকার৷ শুক্রবার জানিয়ে দেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: জয়ের নামে ফেসবুক পোস্টে বিতর্ক, বিধাননগর সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের
কেউ রাজ্যে শিল্প গড়তে এলে তাকে সবরকম ভাবে সাহায্য করা হবে৷ শুক্রবার এই মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ টাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ রাজ্যে টাটারা বিনিয়োগ করলে স্বাগত জানাব৷ টাটারা তো শত্রু নয়৷ সিঙ্গুরের বহু ফসলী জমি আগের বামফ্রন্ট সরকার অনিচ্ছুক কৃষকদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল৷ আমরা জমির স্থান নির্বাচনের বিরুদ্ধে ছিলাম৷ আমরা টাটাদের বিরুদ্ধে ছিলাম না৷ অনশনের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুদ্ধবাবুকে বলেছিলেন, আপনি এটাকে প্রেস্টিজ ইস্যু করবেন না৷ তখন টাটা সেন্টার, টাটা মেটালিক এখানেই ছিল৷ কাজেই এ রাজ্যে টাটারা বিনিয়োগ বাড়ালে আমরা খুশি হব৷’
তবে শিল্পের জন্য জমি নীতিতে বদল আনতে নারাজ রাজ্য সরকার৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে না৷ কিন্তু সবরকম সাহায্য করবে৷ বিনিয়োগকারী সংস্থাকে জমি কিনে তার চরিত্র বদলাতে হবে৷ জমির চরিত্র বদল প্রক্রিয়ার সময় কতটা কমানো যায় তা সংশ্লিষ্ট দফতর দেখবে৷ শিল্পমন্ত্রী আবারও বুঝিয়ে দেন, সরকারের লক্ষ্য কর্মসংস্থান বাড়ানো৷ তাই একগাদা শিল্পের থেকে দু-তিনটি বিনিয়োগ থেকে যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে সেটাই দেখতে হবে৷ টাটাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়নি৷ ওদের কোনও প্রস্তাব থাকলে সেটা যদি সরকারের বাস্তবিক নীতি বা অবস্থানের সঙ্গে খাপ খায় তাহলে অবশ্যই সরকার স্বাগত জানাবে৷