রিসার্চ ফার্ম ওপেনএআই (OpenAI) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে চ্যাটবট (AI-powered Chatbot) তৈরি করেছে, যার নাম রাখা হয়েছে চ্যাটজিপিটি (ChatGPT)। এই প্ল্যাটফর্মে এসে সংশ্লিষ্ট ইন্টারনেট ইউজার (Internet User) ফ্রিতে পরিষেবা (Free Service) পাবেন। আপনি এখানে কথপোকথনে (Conversation) যোগ দিতে পারবেন, পাটিগণিতের অঙ্ক (Solve Arithmetic problems) কষতে পারবেন, বড় রচনা (Long Essay) লিখতে পারবেন, কোনও ব্র্যান্ডের ক্যাম্পেইনিং (Campaigning of Brand) করতে চান, তাও হবে। এমনকি আপনি চাইলে কম্পিউটার কোড পর্যালোচনা ও লিখতেও (Review and Write Computer Code) পারবেন। ডিজিটাল দুনিয়ায় (Digital World) এরকম অনেক কাজ করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ইউজার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) এমন সক্ষমতা দেখতে পেয়ে দুর্দান্ত খুশি ইউজাররাও। সবকিছুই হচ্ছে ফ্রিতে পরিষেবা পাওয়ার জন্য কোনও অর্থ লাগছে না। কিন্তু বিনামূল্যের এই পরিষেবাই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়েছে দাঁড়িয়েছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের (Tech Experts) জন্য।
আরও পড়ুন: Virat Kohli-Sachin Tendulkar: রানের পাহাড়ে ভারত, শচীনের রেকর্ড স্পর্শ কোহলির!
চ্যাটজিপিটি’কে ক্ষতিকারক কোড (Malicious Code) এবং ম্যালওয়্যার (Malware) তৈরি করার জন্য ব্যবহার করছে হ্যাকাররা (Hackers)। অবশ্য এটাও উল্লেখ করতে হবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবসময় সঠিক না হলেও, চ্যাটবটের বহুমুখি এবং নির্ভুল (Versatility and Accuracy) পরিষেবার প্রদানের জন্য ইউজারজের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই চ্যাটবট।
এবিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, চেক পয়েন্ট রিসার্চ (Check Point Research – CPR) নামক সিকিউরিটি ফার্ম অনুসারে, বেশ কিছু আন্ডারগ্রাউন্ড কমিউনিটি (Underground Communities) থেকে এমন খবরও এসেছে যে হ্যাকাররা ওপেনএআই (OpenAI) টুল ব্যবহার করে ক্ষতিকারক কোড তৈরি করছে। একটি ব্লগ পোস্টে (Blog Post) ওই সংস্থার কম্পিউটার গবেষকরা লিখেছেন, ক্ষতিকারক কোড তৈরির জন্য যে টুল দেওয়া হচ্ছে, তা বেসিক। তবে তাঁদের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই আরও উন্নত টুল (Advanced Tools) ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে বিপজ্জনক আকার নিতে পারে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সহজ ভাষায় বললে, হ্যাকাররা জটিল কোড (Complex Code) তৈরি করে, ইন্টারনেট ইউজারদের ক্ষতি করতে পারে।
সম্প্রতি চ্যাটজিপিটি – বেনিফিটস অব ম্যালওয়্যার (ChatGPT – Benefits of Malware) নামক একটি থ্রেড (Thread) চোখে পড়েছে বিশেষজ্ঞদের। এমনও খবর এসেছে ডিজিটাল তথ্য চুরির জন্য পাইথন-বেসড ইনফরমেশন স্টিলার (Python-based information stealer) তৈরি করছে হ্যাকাররা, যা সংশ্লিষ্ট ডিভাইসে গিয়ে কমন ফোল্ডার সার্চ করে, টেম্প ফোল্ডার (Temp Folder)-এর মধ্যে যে কোনও ফোল্ডারে তা কপি করে, তারপর জিপ (ZIP) ফোল্ডার তৈরি এবং সবশেষে সব তথ্য এফটিপি সার্ভার (FTP server)-এ আপলোড করে দেয়। আবার এটাও দেখা গিয়েছে, যে কোনও জাভা কোডকে মডিফাই (Modify Java Code) করে একাধিক ম্যালওয়্যার তৈরি হয়েছে।
ডিজিটাল দুনিয়ায় এসমস্ত জিনিস যে ক্ষতিকারক আকার নিতে পারে, তা কমবেশি প্রায় সকলেই জানেন। কোথাও টাকা চুরি হওয়ার ঘটনা, তো কোথাও তথ্য চুরির স্বার্থে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) হ্যাক করছেন হ্যাকাররা। সেই কথা মাথায় রেখেই চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মানেই ক্রমাগত আপডেট। চ্যাটজিপিটি’ও তাই করছে। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তৈরি এআই-জেনারেটেড টেক্সট (AI-Generated Text) চেনার জন্য ইনভিজিবল ওয়াটারমার্ক (Invisible Watermark) আপডেটের জন্য কাজ করছে তারা।