ওয়েবডেস্ক- ইজরায়েলে (Israel) আমেরিকার (America) দেওয়া আকাশ সুরক্ষা ব্যর্থ। আইরন ডোম (Iron Dom) ভেদ করে মিসাইল (Missile) বৃষ্টি ইরানে (Iran)। ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভ জুড়ে বিপর্যয়ের ছবি। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে নয়া ইতিহাস ইরানের।
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মহাকাশ ও বিমান শাখা শনিবার রাতে “ট্রু প্রমিজ-৩” অভিযানের নতুন পর্যায় শুরু করেছে, যার কোডনাম ছিল “ইয়া আলী ইবনে আবি তালিব”। এই অভিযানে ব্যাপক ও সমন্বিতভাবে ইজরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতে হেনেছে ইরান। অভিযানে “ইমাদ”, “গাদর” ও “খায়বার শেকান” ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল হাইফা, তেল আভিভ, ইজরায়েলের উত্তরাঞ্চল। এই হামলার লক্ষ্য, ইজরায়েলের শোধনাগার, বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র এবং বিমান বাহিনীর জ্বালানি সরবরাহ স্থাপনাগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানা।
ইসরাইলি মিডিয়া অনুযায়ী, এই অভিযানে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি হতাহত হয়েছে। দখলকৃত ভূমির উত্তরাঞ্চলের শহরগুলোতে প্রকাশিত ছবিগুলোতে ব্যাপক বিস্ফোরণ, হাইফার তেল স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ড এবং সামরিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ দেখা যায়।
আরও পড়ুন- এবার বদলা ইজরায়েলের, এয়ার ডিফেন্সের কী অবস্থা করল ইরান?
ইজরায়েল স্বীকার করেছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাম্প্রতিক আক্রমণ তীব্রতা, নির্ভুলতা ও সমন্বয়ের দিক থেকে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই আঘাতের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে, ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও পূর্ণ সতর্কতায় রয়েছে এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পাল্টা ব্যবস্থার জবাবে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, আত্মঘাতী ড্রোন এবং ক্ষুদ্র ড্রোনগুলোকে বিভিন্ন অঞ্চলে বাধা দিতে ও ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা কমান্ড অনুযায়ী, সংঘর্ষের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, দশটি আক্রমণাত্মক ড্রোন এবং ক্ষুদ্র ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
ইরানের সামরিক কর্মকর্তাদের বার্তা অনুযায়ী, যদি ইসরাইলি রাষ্ট্রের আগ্রাসন অব্যাহত থাকে, তবে ভবিষ্যতে প্রতিশোধমূলক অভিযানের মাত্রা আরও ব্যাপক ও ভয়াবহ হবে।
“ট্রু প্রমিজ-৩” অভিযান ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিরোধ কৌশলের একটি মাইলফলক। সঠিক ও বৈচিত্র্যময় ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি আত্মঘাতী ড্রোন এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কৌশলের সমন্বিত ব্যবহার ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর পরিপক্কতা এবং আঞ্চলিক হুমকির মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুতিকে নির্দেশ করে।
এই অভিযানে ব্যবহৃত অস্ত্র ব্যবস্থাগুলো কেবল প্রযুক্তিগতভাবে উন্নতই নয়, কৌশলগত স্তরেও একটি বার্তা বহন করে যে ইরান যে কোনো আক্রমণকারী শত্রুর উপর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চাপিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে।
এদিকে, ইজরায়েলের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও পূর্ণ সতর্ক রয়েছে। ইহুদি সেনার পাল্টা জবাবে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, আত্মঘাতী ড্রোন এবং ক্ষুদ্র ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা কমান্ড অনুযায়ী, সংঘর্ষের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, দশটি আক্রমণাত্মক ড্রোন এবং ক্ষুদ্র ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
ইরানের সামরিক কর্মকর্তার বার্তা অনুযায়ী, যদি ইজরাইলি রাষ্ট্রের আগ্রাসন অব্যাহত থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে প্রতিশোধমূলক অভিযানের মাত্রা আরও আরও ভয়ঙ্কর হবে।
দেখুন ভিডিও-