কলকাতা: কোটি কোটি বছর আগে নিষ্প্রাণ, শুষ্ক, ঊষর লাল রংয়ের গ্রহ ছিল না মঙ্গল (Mars)। একসময় তাতে জল ছিল, হয়তো আমাদের পৃথিবীর (Earth) মতো শস্যশ্যামলাও ছিল। কিন্তু এখন মঙ্গলপৃষ্ঠে জলের কণামাত্র নেই। চকোথায় গেল, কীভাবে উধাও হয়ে গেল জলরাশি, তারই খোঁজ চালাচ্ছে নাসার (NASA) কিউরিওসিটি রোভার (Curiosity Rover)। মঙ্গলের জলময় অতীতকে সম্যক বুঝতে মঙ্গলের গেডিজ উপত্যকা (Gediz Valley) চ্যানেলে অভিযান শুরু করেছে সে।
প্যাঁচালো, সাপের মতো এই গেডিজ চ্যানেলে অভিযান চালিয়ে এককালে সেখানে নদী থাকার প্রমাণ খুঁজবে নাসার রোভার। যে প্রমাণ সম্ভবত রয়ে গিয়েছে উপত্যকার মাটিতে, পাথরে। ওই উপত্যকার ঢাল দেখে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, শুধুমাত্র হাওয়ায় এতটা ক্ষয় হতে পারে না। নদীর স্রোতের মতো শক্তিশালী কিছু বহমান ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বার্ড ফ্লু কি মানবদেহেও সংক্রামিত হচ্ছে?
২০১৪ সাল থেকে মাউন্ট শার্পের (Mount Sharp) পাদদেশে জরিপ করে চলেছে কিউরিওসিটি। গেল ক্রেটারের (Gale Crater) মাটি থেকে তিন মাইল উঁচু এই পর্বত। এই পর্বতের থাকে থাকে রয়েছে মঙ্গলের কোটি কোটি বছর ধরে হওয়া জলবায়ু পরিবর্তন। এ থেকে পাওয়া গিয়েছে জল এবং প্রাণধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজের তথ্য।
নাসার রোভার এসে পড়েছে এক সালফেট সমৃদ্ধ খাতে যা ইঙ্গিত করছে, সেখানে এককালে জল ছিল কিন্তু তা বাষ্পীভূত হয়ে গিয়েছে। পর্বতের গায়ের নিদর্শন দেখে বিজ্ঞানীদের এও মনে হয়েছে, মঙ্গলে জল উধাও হয়ে যাওয়ার বহু যুগ পর আবার ফিরেও এসেছিল। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, মঙ্গল ক্রমশ শুষ্ক হয়েছে। কিন্তু নতুন গবেষণা বলছে, লাল গ্রহে আর্দ্র এবং শুষ্ক সময় চক্রাকারে এসেছে এবং গিয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: