ওয়েবডেস্ক- খামেনি কোথায় (Supreme Leader Ayatollah Khamenei) ? ইরান (Iran) যখন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি তখন দেশের সর্বোচ্চ নেতা অনুপস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তাঁর কোনও খোঁজ নেই। ফলে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোতে (Islamic State) বাড়ছে উদ্বেগ। সূত্রের খবর, তাঁর পরবর্তী কে হবেন তার উত্তরসূরী বাছা হয়ে গিয়েছে। যাঁরা দেশের পরবর্তী ‘সর্বোচ্চ নেতা’ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। তালিকায় তাঁর ছেলে মোজতোবাও (Mojtaba) রাখেননি তিনি। আছে তিন মৌলবীর নাম। তাদের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন ক্ষেপনাস্ত্র হামলা, ‘মিডনাইট হ্যামার’ চালায় আমেরিকা। কিন্তু খামেনির কোনও মন্তব্য নেই। কোথায় আছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনি। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলি (Iranian media) চুপচাপ, সরকারি সূত্রে খবর, এক গোপন বাঙ্কারে (secret bunker) আছেন তিনি।
প্রতিদিনই যুদ্ধ আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। এদিকে ৮৬ বছর বয়সী খামেনির কোনও খবর নেই। যার অঙ্গুলিহেলনেই দেশ চলে, তিনি কীভাবে দেশের এই পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকতে পারেন। তাহলেই গোপনে তাঁর নির্দেশেই কাজ চলছে? নাকি আরও ভয়াবহ কিছু ভাবছে ইরান? খামেনির অনুপস্থিতি একাধিক প্রশ্নের জল্পনা তৈরি করছে। বাড়ছে অস্থিরতা বাড়ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর হয়েছে। কিন্তু ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত।
আরও পড়ুন- কোথায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি? হঠাৎ কেন পরবর্তী উত্তরসূরির তালিকা তৈরি করলেন?
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানি মিডিয়া খামেনির কোনও ছবি বা ভিজ্যুয়াল প্রকাশ করেনি। তাঁর ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, যে গোপন একটি গোপন ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রাণনাশের ঝুঁকি এড়াতে তার সঙ্গে যোগাযোগের সমস্ত ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই তাঁর নিরাপত্তায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বাইরের জগতের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি হুমকি যা উড়িয়ে দেননি বলে জানা গেছে, যদিও ট্রাম্প সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা না করার জন্য ভেটো দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃশ্চিন্তা মেঘ ক্রমশ ঘনাচ্ছে।
মঙ্গলবার ইরানের এক সংবাদমাধ্যম টেলিভিশন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক খামেনির কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মেহদি ফাজায়েলিকে সর্বোচ্চ নেতার অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। কিন্তু মেহদি ফাজায়েলি এর কোনও সরাসরি উত্তর দেননি। উল্টে ফাজায়েলি বলেন, আমরাও অনেক জায়গা থেকে এমন উদ্বেগের খবর পাচ্ছি। ইজরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বোমা হামলার পর আয়াতুল্লাহর নিরাপত্তা নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন। আমরা শুধু তাঁর জন্য প্রার্থনা করতে পারি। সর্বোচ্চ নেতাকে রক্ষা করা যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরা তাঁদের কাজ ভালোভাবেই করছেন। আল্লাহ চাইলে, আমাদের জনগণ তাঁদের নেতাকে সঙ্গে নিয়েই বিজয় উদ্যাপন করতে পারবেন।’
দেখুন আরও খবর-