কবে সম্পূর্ণ ভাবে করোনা মুক্ত হবে আমাদের পৃথিবী? এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারোর। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু’ র কাছেও নেই এই প্রশ্নের জবাব। নিজ মুখে সেই কথা স্বীকার করেছে হু (WHO)।
সম্প্রতি হু’কে একটি ছোট ছেলে প্রশ্ন করে যে, কবে এই করোনা থেকে মুক্তি পাব আমরা? যার উত্তর দিতে গিয়ে রীতিমত কাঁদতে চাইলেন ডাঃ মারিয়া ভ্যান কারকোভ। যিনি নিজে একজন হু’র কোভিড সংক্রান্ত বিষয়ে প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ। ছোট ছেলেটির এই প্রশ্ন শুনে তিনি বললেন, ‘আমার কান্না পাচ্ছে। কিন্তু আমি কাঁদবো না।” তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তিনি জানেন না কবে করোনা মুক্ত হবে এই বিশ্ব।
আরও পড়ুন : করোনা উৎস সন্ধানে ব্যর্থ WHO, দাবি চীনের
এরপর তিনি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান হু’র আরও এক বিশেষজ্ঞ ডাঃ মাইক রায়ানের কাছে। স্বাস্থ্য জরুরী পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাঁর কাজ। ডাঃ মাইক রায়ানের বক্তব্য, এই করোনা খুব শীঘ্রই চলে যাবে যদি আমরা সব রকম বিধি নিষেধগুলি ঠিক করে পালন করি। যদি সময়ের মধ্যে প্রত্যেককে টিকা দিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে নিজেদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া এবং অপরের যত্ন নেওয়া। করোনা হাসপাতাল গুলি যদি সঠিক সময়ে সঠিক পরিষেবা দিতে পারে তাহলে করোনা প্রকোপ অনেকটা কমবে বলে মত ডাঃ মাইকের। ফলে এই সব নিয়মগুলোকে যদি ঠিক ভাবে মানা যায়, তাহলে এক দিন করোনা মুক্ত হবে বিশ্ব। এখন সকলের সঙ্গে হু’রও আশা, যে ভাবে দেশ বিদেশের বৈজ্ঞানিকরা টিকা বানানোর কাজ করছেন, তাতে হয়তো খুব শীঘ্রই করোনাকে হারানো সম্ভব হবে। কিন্তু এই নিয়ম মানার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকছে। অনেক ক্ষেত্রে দেলখা যাচ্ছে সঠিক ভাবে নিয়ম মানা হচ্ছে না। তার ফলে বাড়ছে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন : ব্রিটেনের কোভিড বিধি প্রত্যাহারের ফল ভুগবে গোটা বিশ্ব, হুঁশিয়ারি বিজ্ঞানীদের
বলতে খারাপ লাগলেও সব শেষে মারিয়া ভ্যান ছোট ছেলেটিকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত এই প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। ফলে এই মুহূর্তে আমরা বলতে পারবো না, কবে এই মহামারী দূর হবে।’ তবে সবার শেষে ছোট ছেলেটিকে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন যে, সবাই মিলে যদি একসঙ্গে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়, তাহলে একদিন ঠিক করোনা মুক্ত হবে সারা বিশ্ব।