লন্ডন: ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর (European states) বৈঠকে যুদ্ধংদেহী মনোভাব। রবিবার লন্ডনের (London) এই বৈঠকে ইউরোপীয় দেশগুলির নতুন করে অস্ত্রসজ্জার ডাক।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন (European Commission President Ursula von der Leyen) এই আহ্বান জানান। ব্রিটেনের (Britain) ডাকা বৈঠকে ফ্রান্স, জার্মানি, তুর্কিয়ে সহ অনেক ইয়োরোপীয় দেশ হাজির ছিল। সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান মার্ক রুটে ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও।
মার্কিন সমর্থনের ছত্রছায়ার বাইরে বেরিয়ে নিজেরাই সমরসম্ভার গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা। NATO র ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন আন্তর্জাতিক মহলে।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে ইউক্রেন সংকট (Ukraine crisis) নিয়ে সম্মেলন শুরু হয়েছে। রবিবার এই সম্মেলনের আয়োজন করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের (British Prime Minister Keir Starmer) । এতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের এক ডজনের বেশি নেতা অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘ইউক্রেনের পাশে আছি’, জেলেনস্কিকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের
তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়ার সংকট সমাধানের উদ্দেশে সম্মেলন শুরুর আগে কিয়ার স্টার্মার বিভিন্ন দেশের নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, এই ধরনের ঘটনা ঘটুক কেউ সেটি চায় না।
স্টার্মার আরও বলেন, এখন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি শান্তির দিকে এগোতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ফ্রান্স এবং সম্ভবত আরও একুদুটি দেশকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করবে ব্রিটেন।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের এক দিন পর গত শনিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছান জেলেনস্কি। সেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। দুই নেতা একত্রে ২. ৮৪ বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণচুক্তিও ঘোষণা করেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে এই অর্থ ব্যবহৃত হবে। আর এই অর্থ আসবে রাশিয়ার বাজেয়াপ্ত করা সম্পদ থেকে।
দেখুন অন্য খবর: