আমেরিকা: আমরা সিনেমায় দেখেছি যে গাড়ি (Car) চলতে চলতে হঠাৎ আকাশে (Sky) উড়ে গেল। আবার সুবিধামতো নেমে এলো গোঁত্তা খেয়ে। কিন্তু কখনও কি আমরা ভাবতে পেরেছিলাম যে এই ঘটনা শুধু কল্পনায় নয়, বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে আনা যাবে। ধরুন আপনি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছেন, সামনে প্রচুর জ্যাম। অগত্যা আপনার সিগন্যাল না ওঠা অবধি বসে থাকতে হবে। কিন্তু যদি এমন হয় জ্যাম দেখে আপনি গিয়ার বদলে আকাশে উড়ে গেলেন, আবার ফাঁকা দেখে রাস্তায় নেমে পড়লেন। আবার তেমন সুযোগ না পেলে সরাসরি অফিস বা কর্মক্ষেত্রে গিয়ে নামতেও পারেন। হ্যাঁ, খুব শীঘ্রই এমনটা হতে চলেছে। কারণ বাজারে আসতে চলেছে উড়ন্ত গাড়ি (Flying Car)। আলেফ অ্যারোনটিক্সের ফ্লায়িং কার এবার মার্কিন সরকারের কাছ থেকে আইনি অনুমোদন পেয়ে গেল।
২০২২-এর অক্টোবরে উড়ন্ত গাড়ির মডেল প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিল সংস্থা। ইতিমধ্যে ৪৪০ টি গাড়ির প্রি অর্ডার করা আছে। তবে ফ্লাইং কারের পরিষেবা শুরু হতে ২০২৫ হবে। আলেফ অ্যারোনটিক্সের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ইলেকট্রিক্যাল ভার্টিকল এবং ল্যান্ডিং (eVTOL) যানবাহনের জন্য নীতি নিয়ে অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে কাজ করছে মার্কিন সংস্থা এফএএ। সেই সঙ্গে eVTOL এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়ে গভার্নিং ইন্টার্যাকশনও চলছে। ওই বিবৃতিতে আরও যোগ করা বলা হচ্ছে, “আলেফের বিশেষ এয়ারওয়ার্থিনেস সার্টিফিকেটে বিশেষ কিছু স্থানকে সীমিত রেখে ওড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:Delhi Crime | ভুল বশত ছেলের ফোনে রেকর্ড হল বাবার ধর্ষণের ভিডিয়ো
ক্যালিফর্নিয়ার স্যান ম্যাটিওতে তৈরি করা হয়েছে এই উড়ন্ত গাড়িটি, যা পুরোদস্তুর ইলেকট্রিক। অন্দরে দুজনকে বসিয়ে উড়তে পারে গাড়িটি। ফক্স নিউজ়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, গাড়িটির দাম ৩,০০,০০০ মার্কিন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২,৪৬,১১,২৫০ টাকা। কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, উড়ন্ত গাড়িটি শহুরে এবং গ্রামীণ রাস্তাতেও চলতে পারবে। সাধারণত বাড়িতে যে ধরনের গ্যারাজ থাকে এবং রাস্তাঘাটের রেগুলার পার্কিং স্পেসে গাড়িটি পার্ক করা যাবে। খুবই কম গতিতে পথে দৌড়তে পারবে গাড়িটি, ঘণ্টায় ২৫ মাইলের বেশি হবে না এর গতিবেগ।