ওয়েব ডেস্ক: শেয়ার বাজারে দুর্নীতির (Share Market Scam) অভিযোগে ইতিহাসে প্রথমবার অভিযুক্ত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President) ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। চীন ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের উপর থেকে শুল্ক (Tariff) স্থগিত করার ঠিক আগে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লেখেন, “এটাই শেয়ার কেনার দারুণ সময়।” এরপর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঘোষণা হয়, স্থগিত করা হচ্ছে বহু দেশের উপর শুল্ক। এর ফলে মার্কিন শেয়ার বাজারে হঠাৎই ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। সেখানেই দেখা যাচ্ছে দুর্নীতির ছায়া।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার ঠিক আগেই যারা শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের অনেকেই বিপুল লাভবান হন। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন—ট্রাম্প কি আগেভাগে এই তথ্য ঘনিষ্ঠ মহলে ফাঁস করে দিয়েছিলেন? অভিযোগ, তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা আগে থেকে জানতেন এবং জেনে বুঝে শেয়ার বাজারে সাড়া ফেলার মতো বার্তা দিয়েছিলেন জনসমক্ষে। রাজনৈতিক মহল এবং আর্থিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরণের বার্তা দেওয়া একরকম ‘ইনসাইডার ট্রেডিং’ এর ইঙ্গিত বহন করে, যা আমেরিকায় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: চরম শুল্কযুদ্ধে চীন ও আমেরিকা! বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ কী?
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির জেরে একদিকে যেমন আমেরিকার বাজারে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে, তেমনই বিভিন্ন পণ্যের দামও বাড়ছে চোখে পড়ার মতো। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার টানা দুই দিন মার্কিন শেয়ার বাজারে রীতিমতো রক্তক্ষরণ হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তার মধ্যেই ট্রাম্পের মন্তব্য, “এটাই বড়লোক হওয়ার সময়।” এমন বক্তব্যে আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে।
ট্রাম্প অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড়। তাঁর দাবি, শুল্ক নীতি বদলাবে না। বরং এর ফলে বিদেশি সংস্থাগুলি আমেরিকাতেই কারখানা তৈরি করতে বাধ্য হবে। ফলস্বরূপ দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কিন্তু বাস্তবে চিত্রটা ভিন্ন। গোল্ডম্যান শ্যাকস-এর মতে, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার সম্ভাবনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশে, যেখানে আগের হার ছিল ২০ শতাংশ। একই সঙ্গে জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমিয়ে আনা হয়েছে ২ শতাংশ থেকে ১.৫ শতাংশে।
দেখুন আরও খবর: