ওয়েব ডেস্ক: চীন-বিরোধী যুদ্ধ-জিগির বাড়াচ্ছে আমেরিকা। চীনা আক্রমণের বিপদ খুব দূরে নয় – হুঁশিয়ারি আমেরিকার। সিঙ্গাপুরে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রতিরক্ষা সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেজসেথ বলেছেন, যে-কোনও দিন চীন তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে। তা ঠেকাতে এই অঞ্চলের দেশগুলিকে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে। এই সম্মেলনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বা সমপর্যায়ের কোনও প্রতিনিধি পাঠায়নি চীন।চীন বরাবর দাবি করে এসেছে, তাইওয়ান তাদেরই অংশ, এ ব্যাপারে অন্য কোনও বয়ান তারা মানে না।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব এদিন চীনকে হুঁশিয়ারি দিলেন। বার্তা দিলেন এশিয়ায় চীনের ‘দাদাগিরি’ মোকাবিলা করতে আমেরিকা প্রস্তুত হচ্ছে। এশিয়ায় আমেরিকার সহযোগীদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করতে বললেন তিনি। শনিবার সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠান থেকে তিনি এই বার্তা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ শুক্রবার বার্তা দিয়েছেন, চীন, ভারত, রাশিয়া নতুন অক্ষের। যা অনেককে মাও জে দং, নিকিতা ক্রুশ্চেভ ও জওহরলাল নেহরুর যুগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। যখন হিন্দি-চিনি ভাই ভাই স্লোগান দিয়েছিলেন নেহরু। ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পরে সেই সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর কথায় ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যা মেটার একট সমাধান রেখা দেখা গিয়েছে। তারই মধ্যে এই হুঁশিয়ারি আমেরিকার।
এদিন পেন্টাগনের প্রধান এদিন সতর্ক করেছেন, চীন এশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্য সরাতে সামরিক ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার কর্তৃত্বের কথাও এদিন প্রতিরক্ষা সচিব স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সিঙ্গাপুরে সাঙ্গরি লা ডায়লগে বক্তব্য পেশ করেন পেন্টাগন প্রধান। এমনকী তাইওয়ান দখল করার জন্য চীন সামরিক ঘাঁটি বাড়াচ্ছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে চীনের দড়ি টানাটানি চলছে। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক চাপানোর পর থেকে উত্তেজনা বেড়েছে। এদিন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব চীনকে তুলোধনা করেন। চীন সাইবার আক্রমণ চালাচ্ছে, দক্ষিণ চীন সাগরে বেআইনি আধিপত্য বাড়াচ্ছে সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। তিনি আমেরিকার সহযোগীদের প্রতি বার্তা দেন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও আধুনিক করুন। প্রতিরক্ষায় ব্যয় বাড়ান। এদিকে ফিলিপিন্সের সঙ্গে চীনের সমস্যা বাড়ছে। আমেরিকার ফিলিপিন্সের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়েছে।