ওয়েবডেস্ক: আমেরিকার (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) একের পর এক একগুঁয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই তিনি কার্যত যা ইচ্ছে তাই করতে শুরু করেছেন। নথিহীন অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়ানো। চড়া হারে শুল্ক চাপানো। ইউক্রেনে অভিযান চালানো রাশিয়ার প্রতি নীতি বদল। আমেরিকা ফার্স্ট। গ্রিনল্যান্ড, গাজা নিয়ে নেওয়া। কানাডাকে আমেরিকায় ঢুকিয়ে নেওয়া। পাল্টা শুল্কের নামে ধুয়ো তুলে বিচিত্র সব কাণ্ড ট্রাম্পের। ভারতের এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের (Indian Student) ভিসা বাতিল করে আমেরিকা। তাঁর পঠন পাঠন এখনও শেষ হয়নি। তাঁকে দ্রুত ভারতে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল। সেই ঘটনায় আমেরিকার আদালত ট্রাম্প সরকারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল। কৃশলাল ইসেরদাসানি উইসকনসিন ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাঁর অভিযোগ, এফ-১ ভিসা অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছে।
আমেরিকার ফেডারেল জাজ উইলিয়াম কোনলি বলেন, ছাত্রটিকে সতর্ক করা হয়নি। আত্মরক্ষায় কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। এফ-১ স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল করার আগে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে ভিসা ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। গত ২২ নভেম্বর একটি বারে বচসার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই ছাত্রকে। গত ৪ এপ্রিল তাঁর ভিসা বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন: আমেরিকা থেকে ‘বোয়িং’ আমদানি নয়, ‘শুল্কযুদ্ধে’ বিরাট সিদ্ধান্ত চীনের
স্টুডেন্ট অ্যান্ড ভিজিটরস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিক ১৩০০ ছাত্র ছাত্রীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এই রায় বিদেশি পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে প্রথম জয়। ট্রাম্পের জমানায় বিভিন্ন কলেজে ভিসা বাতিল বাড়ছে। তার মধ্যে ভারতীয়রাও রয়েছেন। আমেরিকার বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ট্রাম্প প্রশাসনের কোপ নেমে এসেছে। আর্থিক অনুদান আটকেছে ট্রাম্পের রিপাবলিক প্রশাসন। হার্ভাড জানিয়েছে মাথা নোয়েবে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গাজায় নিরাহী প্যালেস্তিনীয়দের হত্যা করা ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোয় আমেরিকা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছেন বহু মার্কিনি।
দেখুন অন্য খবর: