ওয়াশিংটন: প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র ও জিনিসের তালিকা প্রকাশ করল আদালত শুক্রবার। তালিকা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১১ হাজারেরও বেশি নথিপত্র ও বেশ কিছু ছবি। এছাড়া বাজেযাপ্ত করা হয়েছে উপরে গোপনীয় লেখা ৪৮টি খালি ফোল্ডার।
গত মাসে এফবিআই ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি ও জিনিসপত্র উদ্ধার করে। এফবিআইয়ের এই তল্লাশি অভিযানের তীব্র নিন্দা করেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর অভিযোগ ছিল, কাউকে কিছু না জানিয়েই এফবিআই এই অভিযান চালায়। মার্কিন সরকারের দাবি ছিল, সরকারি নির্দেশমতই এফবিআই তল্লাশি চালিয়েছে।
২০২১-র জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার সময় একাধিক রেকর্ড তার মার-এ-লাগোর বাড়িতে সঙ্গে করে নিয়ে যান। ন্যাশনাল ডিফেন্স ইনফর্মেশন সংক্রান্ত এই সব নথিপত্র নিজের কাছে রেখে ডোনাল্ড ট্রাম্প আইন ভেঙেছেন কি না সে বিষয়টি নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চলছে।
ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশির সময় তদন্তকারী অফিসাররা দেখেন বই, ম্যাগাজিন ও বিভিন্ন পেপার ক্লিপিংয়ের সঙ্গে মিশিয়ে রাখাছিল গোপনীয় লেখা বেশ কিছু নথিপত্র।
গত ৮ অগাস্ট ১১হাজারেরও বেশি উদ্ধার হওয়া নথিপত্র ও ছবিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, এর মধ্যে অতি গোপনীয় বলে চিহ্নিত ১৮টি ডকুমেন্ট, গোপনীয়(সিক্রেট) বলে চিহ্নিত ৫৪টি ডকুমেন্ট ও গোপনীয়(কনফিডেনশিয়াল)বলে ৩১টি ডকুমেন্ট রয়েছে। দেশের চূড়ান্ত গোপনীয় কোনও বিষয় বা তথ্য বোঝাতে ব্যবহার করা হয় ‘টপ সিক্রেট’। এছাড়া মোট ৯০টি ফোল্ডার উদ্ধার হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে গোপনীয়(কনফিডেনশিয়াল) বলে চিহ্নিত ৪৮টি ফোল্ডার। এছাড়া বাদ বাকি ফোল্ডারগুলিতে স্টাফ সেক্রেটারি বা মিলিট্যারি এইডের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। তবে এই ফোল্ডারগুলি আদৌ খালি না এতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উধাও হয়ে গেছে এখনও তা জানা সম্ভব হয়নি ।
জানা গেছে, এই বিষয়ে স্বাধীনভাবে তদন্তের স্বার্থে, বাজেয়াপ্ত সমস্ত নথিপত্র তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে যাচাই করানো হবে। তবে ‘স্পেশাল মাস্টার’ নিয়োগ করা হলেও গোটা বিষয়টি জাতীয় সুরক্ষাকে কতটা বিপন্ন করেছে তা বুঝতে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগকেও নথিপত্র খতিয়ে দেখার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
এর আগে আদালতের এক শুনানিতে মার্কিন বিচার বিভাগ অভিযোগ করে, জুন মাসে ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ইচ্ছাকৃত ভাবে এই সব নথিপত্র লুকিয়ে রাখা হয়। এই নিয়ে তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।