ওয়েব ডেস্ক: দিন দিন ভয়ঙ্কর হচ্ছে ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ (Israel-Iran War)। এই যুদ্ধে আমেরিকার ‘এন্ট্রি’ নিয়ে ইতিমধ্যে নানা মহলে নানা জল্পনা চলছে। কারণ ইতিমধ্যে একাধিক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। কিন্তু এখনও সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেনি মার্কিন সেনা। কিন্তু এবার ইরানে ভয়ঙ্কর ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করতে পারে আমেরিকা। ইরানের গোপন পারমাণবিক ঘাঁটি উড়িয়ে দিতে এবার বড়সড় সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে মার্কিন সেনা।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ভারতের মহাসাগরের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে (Garcia Island) ফেডেরাল সেনার সবচেয়ে শক্তিশালী ৬টি B-2 স্পিরিট স্টেলথ বোম্বার (B-2 Spirit Stealth Bomber) মোতায়েন করেছে আমেরিকা (USA)। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার মূল লক্ষ্য ইরানের অন্যতম সুরক্ষিত পারমাণবিক কেন্দ্র, ফরডো নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট (Fordo Nuclear Plant)। এই পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইরানের কুম শহরের নিকটবর্তী পাহাড়ের নিচে, প্রায় ৮০–৯০ মিটার গভীরে অবস্থিত। এটি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অন্যতম প্রধান ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মেরুদণ্ড বলা হয় এই ফরডো নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টকে।
আরও পড়ুন: আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার পর বোয়িংয়ে আস্থা হারাচ্ছে বিশ্ব? বাতিল বহু চুক্তি
এবার ইরানের এই মেরুদণ্ডকে ভেঙে দিতে পারে মার্কিন সেনা। তাই এর কাছাকাছি আমেরিকা-যুক্তরাজ্য যৌথ সেনা ঘাঁটিতে বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে ট্রাম্প সরকার। জানা গিয়েছে, B-2 বিমান GBU-57 ‘Massive Ordnance Penetrator’ বোমার ফেলতে সক্ষম। এই ভয়ঙ্কর বোমার বিস্ফোরণে ভূগর্ভস্থ কংক্রিটের ছাদ অবধি ভেঙে ফেলা সম্ভব। তাই ফরডো প্ল্যান্টের মতো গোপন পারমাণবিক কেন্দ্রকে ধ্বংস করার জন্য এই বোমাই সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। এর আরেকটা কারণ হল, B-2 স্পিরিট বোম্বা স্টেলথ প্রযুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় রাডার ফাঁকি দিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম।
এছাড়াও, মার্কিন কংগ্রেস সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্ট প্রশাসন ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে ইরানের ফরডো প্ল্যান্টসহ অন্যান্য গোপন পারমাণবিক কেন্দ্রে এয়ার স্ট্রাইকের অনুমোদন পেতে চলেছে। আমেরিকার এই সামরিক প্রস্তুতি এবং বোম্বার মোতায়েন, মধ্যপ্রাচ্যের জ্বলন্ত পরিস্থিতিকে আরও অগ্নিগর্ভ করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
দেখুন আরও খবর: