নেপাল: জেন-জিদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত নেপাল। সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে শুরু হয় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। সরকার দুর্নীতি রুখতে ব্যর্থ, উল্টে সাধারণ মানুষের মুখ বন্ধ করতে সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে। এই অভিযোগ সামনে এনেই সোমবার থেকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নেপালে। জনতার ক্ষোভ রূপ নিয়েছে হিংসায়। বিক্ষোভকারীরা দখল করেছে সংসদ ভবন , আগুন লাগানো হয়েছে বিমানবন্দরে।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লি থেকে কাঠমান্ডুগামী একাধিক বিমান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার ৪টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ইন্ডিগো ও নেপাল এয়ারলাইন্সও দিল্লি থেকে কাঠমান্ডুতে নির্ধারিত বিমান বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী’কে পুড়িয়ে মারল বিক্ষোভকারীরা
এয়ার ইন্ডিয়া বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দিল্লি- নেপাল রুটের একাধিক বিমান বাতিল করা হয়েছে। প্রতিদিন দিল্লি ও কাঠমান্ডুর মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার ছ’টি বিমান পরিষেবা দেয়। কিন্তু মঙ্গলবার নেপালে অশান্ত পরিস্থিতির কারণে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
ওলি এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠরোধ করতে সরকার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ রাতের মধ্যে ভয়াবহ রূপ নেয়। সেনা ও পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান অন্তত ২১ জন, আহত হন ৩০০-র বেশি। প্রবল চাপের মুখে সোমবার গভীর রাতেই সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে এই পরিস্থিতির মুখে পরে পদত্য়াগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। এমনকী, সেনাকপ্টারে করে দেশ থেকে পালিয়ে যান কেপি ওলি। পদত্যাগ করেন একের পর এক মন্ত্রী। তবে এই জল এবার কত দূর গড়ায় সেটাই দেখার।
দেখুন খবর: