কিইভ: তিনদিক ঘিরে রাশিয়ার সেনা৷ যে কোনও সময় ইউক্রেনে (Ukraine-Russia Crisis) হামলা করতে পারে তারা৷ রাশিয়াকে ঘনঘন হুঁশিয়ারি আমেরিকার৷ ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পানাকে ‘ভিত্তিহীন হিস্টিরিয়া’ বলে উড়িয়ে দিলেও এই যুদ্ধ আবহে শনিবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করে রাশিয়া৷ আতঙ্কিত ইউক্রেন এরপরই আসন্ন সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার সমাধানসূত্র পেতে রাশিয়াকে বৈঠকের প্রস্তাব দিল৷
মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের মঞ্চ থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বার্তা, ‘আমি জানি না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কী চান৷ আমি তাঁর সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিচ্ছি৷ শান্তিপূর্ণ মিটমাটের জন্য ইউক্রেন কূটনৈতিক পথেই হাঁটবে৷’ বৈঠকের জায়গা রাশিয়াই ঠিক করুক৷ চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট৷ যদিও ভলোদিমির প্রস্তাব নিয়ে ক্রেমলিনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷
যদিও রাশিয়া বারবার দাবি করেছে, ইউক্রেনে হামলার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই৷ পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সক্রিয়তা রাশিয়ার চিন্তার কারণ৷ ন্যাটোকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক, এমনটাই চায় রাশিয়া৷ একইসঙ্গে ইউক্রেন যাতে কোনওভাবেই ন্যাটোয় যোগ না দেয় সেই দাবি পশ্চিমি দেশগুলোর কাছে জানিয়েছে মস্কো৷ কিন্তু ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি এই দাবি মানতে নারাজ৷
আমেরিকা জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে দেড় লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে সেটা রাশিয়া-আমেরিকার যুদ্ধে পরিণত হবে৷ এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে রুশ মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির সক্রিয়তা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে৷ গত বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ব ইউক্রেনে অশান্তি করছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী৷ ওই সংঘর্ষে এক ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে৷