ভিলনিয়াস: লিথুয়ানিয়ার (Lithuania) রাজধানী ভিলনিয়াসে মঙ্গলবার ন্যাটোর (NATO) বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে জোর ধাক্কা খেল ইউক্রেনের (Ukraine) ন্যাটোয় দ্রুত যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা। ইউক্রেনকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত শর্ত পূরণ হলে তবেই জোটে অন্তর্ভুক্তির আমন্ত্রণ জানানো হবে। ন্যাটোর সদস্য ৩১টি দেশের সম্মেলনে সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলটেনবার্গ (Jens Stoltenberg) বলেন, রুশ আক্রমণ প্রতিহত করতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার কোনও জোরালো বিবৃতি দেয়নি ন্যাটো।
তবে ন্যাটোর শীর্ষনেতারা জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন ভবিষ্যতে ন্যাটোর অংশ হবে এবং সেই জোটে আসার পদ্ধতিগত সময় কিয়েভের জন্য কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে মঙ্গলবারের বৈঠকের পর বিবৃতিতে ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হয়, “ইউক্রেনকে জোটে আমন্ত্রণ জানানোর অবস্থায় আমরা তখনই আসব যখন সমস্ত মিত্রদেশ রাজি হবে এবং সমস্ত শর্ত পূরণ হবে।”
আরও পড়ুন: Delhi Incident | ফের দিল্লিতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, উদ্ধার মহিলার টুকরো টুকরো দেহ
ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে ভিলনিয়াসে (Vilnius) গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। সামিটের এই সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ এবং তা গোপনও করেননি। টুইট করে তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে ইউক্রেনকে ন্যাটোয় আমন্ত্রণ জানানো কিংবা তার সদস্য করা নিয়ে কোনও তৎপরতাই নেই। তার মানে ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার উপায় রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে দর কষাকষি করা। আর রাশিয়ার ক্ষেত্রে তা হল নাশকতা চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।”
Started the meeting with NATO Secretary General @jensstoltenberg. Today is the first meeting of the Ukraine-@NATO Council. We will do everything together to make it effective.
— Володимир Зеленський (@ZelenskyyUa) July 12, 2023
তাঁর দেশকে আমন্ত্রণ জানানোর কোনও স্পষ্ট সময়সীমা না দেওয়াকে অর্থহীন আখ্যা দিয়ে বিরক্ত জেলেনস্কি বলেন, “অনিশ্চয়তা হল দুর্বলতা। আমি সামিটে এই বিষয়টি খোলাখুলি আলোচনা করব।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, ন্যাটোর অন্যান্য সদস্যরা মোটেই রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হবে না, বরং তাঁদের সদস্যপদ এই জোটকে আরও শক্তিশালী এবং নিরাপদ করে তুলবে।
এদিকে ইউক্রেন ধাক্কা খেলেও মঙ্গলবার সুখবর পেয়েছিল সুইডেন। স্টোলটেনবার্গ জানিয়েছিলেন, ন্যাটোর সামরিক জোটে সুইডেনের (Sweden) অন্তর্ভুক্তি সমর্থন করেছেন তুরস্কের (Turkey) প্রেসিডেন্ট তাইপ এর্দোগান (Tayyip Erdogan)। গত বছর ন্যাটোতে যোগ দিতে আবেদন জানিয়েছিল সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড (Finland)। গত এপ্রিলে ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছিল ফিনল্যান্ড কিন্তু তুরস্ক এবং হাঙ্গেরি সুইডেনের আবেদন নিয়ে টালবাহানা করছিল। ভিলনিয়াসে ন্যাটোর সামিতের আগে ছাড়পত্র পেতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে স্টকহোম (Stockholm)। তুরস্ককে রাজি করাতে আমেরিকা (US) এবং তার সহযোগীদের সাহায্য নিয়েছে তারা।