ওয়াশিংটন: আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে ঘরে বাইরে চাপের মুখে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও নানান সমালোচনার মুখেও মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তাঁর সিদ্ধান্তে অটল তিনি। তবুও প্রশ্ন উঠেছে তালিবান প্রসঙ্গে কি তিনি পূর্বসূরীদের চেয়ে নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন? আগামী দিনে আফগান নাগরিকদের জনকল্যাণে কাজ করবে তালিবান। কট্টরপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠিটির প্রতি তাঁর বিশ্বাসের প্রসঙ্গ রবিবার হোয়াইট হাউসের সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি তালিবানকে বিশ্বাস করেন? প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।
তিনি সোজাসুজি জানান যে তিনি কাউকেই বিশ্বাস করেন না। তিনি স্পষ্ট বলেন, ” আমি কাউকে বিশ্বাস করিনা। হয়তো অনেককে ভালোবাসি, তবে কেউই নেই যাদের কাউকে আমি বিশ্বাস করি।”
আরও পড়ুন: দূতাবাস যোগাযোগ না করলে বিমান বন্দরে আসবেন না, স্পষ্ট নির্দেশ বাইডেন সরকারের
#WATCH | “I don’t trust anybody, including you, I love you but there is not a lot of people I trust. Taliban has to make a fundamental decision,” says US President Joe Biden on being asked –do you trust them (Taliban) now? pic.twitter.com/LDREjZm5Yn
— ANI (@ANI) August 23, 2021
কাবুলের ক্ষমতা দখল করার পর সরকার গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে তালিবান। চীন এবং রাশিয়া এখনও পর্যন্ত তাদের স্বীকৃতি দিলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকেও স্বীকৃতি আশা করছে আফগানিস্তানের নয়া শাসকেরা। উল্লেখ্য ,৩১ অগাস্টের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করে নেবে আফগানিস্তান থেকে। আমেরিকার এই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই কয়েক মাসে মার্কিন সেনার ওপর কোনও হামলা চালায়নি তালিবান। এমনকি এখনও কাবুল বিমানবন্দরে দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনাদের ওপর কোনও হামলা চালায়নি কট্টরপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠিটি।
যদিও আফগানিস্তান থেকে ‘হঠকারিতার বশে’ সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন।
প্রথমে যদিও আফগানিস্তান থেকে ৩১ আগস্ট এর মধ্যেই সেনা প্রত্যাহার নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ন্যাটোরও। কিন্তু এই অল্প সময়ে সেনা প্রত্যাহার ও শরণার্থীদের উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাই উদ্ধারকাজ ৩১ অগাস্টের পর আর কতদিন চালানো যাবে তা নিয়ে সেনা কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাইডেন।
আরও পড়ুন: ‘নির্ধারিত’ সময়ের পর মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, হুমকি তালিবানের
অন্যদিকে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের পর আমেরিকা ও ব্রিটেন যদি আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন রাখে, তার ফলাফল ভালো হবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে তালিবান।
তাই একদিকে শরণার্থীদের উদ্ধার কাজ, অন্যদিকে তালিবানি হুমকি। সব নিয়ে যথেষ্টই দোলাচলে হোয়াইট হাউস। এই অস্থির রাজনৈতিক আবহে বাইডেনের গলায় ‘অবিশ্বাসের সুর’ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকমহল।