ওয়েবডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine Conflict) যুদ্ধের আবহে বড় ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Us President) ঘোষণা এবার দ্রুত অগ্রগতি না হলে, এবার ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে আসবে তার দেশ। ট্রাম্পের (Donald Trump) এই বক্তব্য ঘিরে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প এই কথা বলেন। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার মানে তিনি এটা বলতে চাইছেন না, তিনি আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন। তিনি এখনও বিশ্বাস করেন, এই চলমান সংঘাত শেষ করার ভালো সম্ভাবনা আছে। পরিস্থিতি এখন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাস্কের সঙ্গে কথা মোদির, আমেরিকার সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে চায় ভারত
প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যের আগে প্যারিসে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার পর মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও (US Secretary of State Marco Rubio) বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি কয়েক দিনের মধ্যে ‘সম্ভব’ না হলে ওয়াশিংটন একাই ‘এগিয়ে যাবে।’ মার্কিন বিদেশমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, শান্তি চুক্তিতে কোনও অগ্রগতি না হয়, তবে আর আমরা এর মধ্যে থাকব না। আমরা সপ্তাহ বা মাস ধরে এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব না। রুবি আরও জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখনও চান দ্রুত শান্তি চুক্তিতে পৌঁছোতে। তবে আলোচনা যদি স্থগিত থাকে, তাহলে মার্কিন প্রশাসন আর এই বিষয়ে মনোযোগ দেবে না। অন্যান্য বিষয়ে মনোযোগ দেব।
তবে শুক্রবার তাঁর বক্তব্য দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কাউকেই দোষারোপ করেননি। তবে পুতিনই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পুরোদস্তুর সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন। তবে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, উভয় পক্ষকেই অগ্রগতি দেখাতে হবে।
পাশাপাশি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স রোম সফরে গিয়ে বলেছেন, তিনি একটি সমাধানে পৌঁছানো নিয়ে আশাবাদি।
উল্লেখ্য, সোমবার রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, শান্তি চুক্তির ‘মূল উপাদানগুলো’ নিয়ে একমত হওয়া ‘সহজ নয়।’ তবে সেইসঙ্গে তিনি স্বীকারও করেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন সংঘাতের ‘মূল কারণ’ বোঝার চেষ্টা করছে। তবে লাভরভের বক্তব্য, এই সংঘাত ‘ওয়াশিংটন এবং ব্রাসেলসের কর্মকাণ্ডের’ কারণে শুরু হয়েছে। তাদের কারণেই ‘ইউক্রেনে বর্তমান সরকার ক্ষমতা এসেছে।’
উল্লেখ্য, বিগত তিন বছর ধরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এখনও পর্যন্ত শান্তি স্থাপনের সব রকম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে। খারকিভ ও সুমিতে শুক্রবারের হামলায় দুজন নিহত এবং অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে। ২০২২ সালের এক সকালে হঠাৎই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই থেকে যুদ্ধ চলছে।
দেখুন অন্য খবর-