ওয়েব ডেস্ক: ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক – দুই সম্পর্কই তলানিতে। একসময়ের দুই বন্ধু আজ দুজনের চরম বিরোধী। হ্যাঁ, কথা বলছি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং টেসলা কর্নধার ইলন মাস্কের (Elon Musk)। কয়েকমাস আগেই ছিল আমেরিকার (USA) প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাতে যেভাবে ট্রাম্প বাজিমাতের নেপথ্যে মাস্কের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু সেই মাস্কই এবার ট্রাম্পের বিরোধী দলে বিনিয়োগের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।
তবে এই চোখ রাঙানিকে পরোয়া না করে ট্রাম্প নিজের মেজাজেই উত্তর দিয়েছেন মাস্ককে। তাঁদের সম্পর্ক যে শেষ, তা কার্যত মেনে নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শনিবার এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এনবিসি নিউজকে ট্রাম্প স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “যদি ইলন মাস্ক ডেমোক্র্যাটদের আর্থিক সাহায্য করেন, তবে তার পরিণতি তাঁকেই ভুগতে হবে।” এই বক্তব্যে ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের সম্পর্কের অবনতি এখন আর গোপন রইল না।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদ, সংঘর্ষ, টিয়ার গ্যাস! কেন অশান্ত লস অ্যাঞ্জেলস?
উল্লেখ্য, ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে শুরু হওয়া বিরোধ থেকেই দুই হেভিওয়েটের দ্বন্দ্ব ঘনীভূত হয়েছে। মাস্ক অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে না জানিয়েই সেই বিল রাতারাতি পাশ করানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদে তিনি প্রশাসনিক উপদেষ্টার পদ ছাড়েন। এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, “মাস্কের আচরণে আমি হতাশ।” পালটা মাস্ক আবার বলেন, “ট্রাম্প আমাকে ছাড়া জিততেই পারতেন না।”
এরই মধ্যে এক্স হ্যান্ডেলে একটি সমীক্ষা চালিয়ে মার্কিন নাগরিকদের জিজ্ঞাসা করেন—“আমেরিকায় কি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে?” সেই সমীক্ষায় ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ নতুন দলের পক্ষেই মত দিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই মাস্ক একটি সম্ভাব্য নতুন দলের নাম জানান—‘দ্য আমেরিকা পার্টি’। রাজনীতির পটপরিবর্তনের এই ইঙ্গিতে জল্পনা ছড়িয়েছে, এই দল গঠন করেই হয়তো রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করতে চলেছেন টেসলা কর্তা।
দেখুন আরও খবর: