ওয়েবডেস্ক- মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ইরানের উপর সর্বোচ্চ চাপ বজায় রেখেছে আমেরিকা। যুদ্ধ বিরতির মধ্যেই দেশ পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য ইরানের উপর তেল (Iran oil) নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (President Donald Trump)।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে ইরানের (Iran) উপর ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ চাপ বজায় রাখার পরে, অভিযান বহাল থাকলেও ইরানি তেল বিক্রির উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও দেশটির পুনর্গঠনে সহায়তা করার জন্য প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা আনা হতে পারে। ট্রাম্পের কথায়, দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে ইরানের অর্থের প্রয়োজন হবে। যুদ্ধবিরতির (ceasefire) পরও চীন (China) ইরান থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখতে পারে বলে ইঙ্গিত ট্রাম্পের।
ন্যাটো (NATO) শীর্ষ সম্মেলনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, “দেশটিকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তাদের অর্থের প্রয়োজন হবে। আমরা তা দেখতে চাই।”
একদিন আগে, ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন যে ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর চীন ইরানি তেল কেনা চালিয়ে যেতে পারে। তবে, হোয়াইট হাউস পরে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে তার মন্তব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নীতির কোনও আনুষ্ঠানিকভাবে নরম মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে তা নয়।
আরও পড়ুন- উত্তেজনার মাঝেই আমেরিকা-ইরান বৈঠক! বড় ঘোষণা ট্রাম্পের
উল্টে ইরানের উপর তারা সর্বোচ্চ চাপ বজায় রেখেছে। ট্রাম্প এর আগে ইরানি তেল আমদানি অব্যাহত রাখার জন্য বেশ কয়েকটি চীনা স্বাধীন শোধনাগার এবং বন্দর অপারেটরদের উপর ইরান সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে ইরান থেকে তেল কেনার ব্যাপারে চীনের ক্ষমতা সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্য আসলে “চীনে একটি ইঙ্গিত ছিল। আমরা আপনার সাথে কাজ করতে চাই, আমরা আপনার অর্থনীতির ক্ষতি করতে আগ্রহী নই।” উইটকফ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করে যে এই বার্তা ইরানকে প্রভাবিত করবে।
প্রসঙ্গত, চীন ইরানি অপরিশোধিত তেলের শীর্ষ ক্রেতা, দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্পের তেলের উপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আসছে।
দেখুন আরও খবর-