ওয়েবডেস্ক: বিশ্বের সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বললে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড, কেমব্রিজের সঙ্গে উঠে আসে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। সেই হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ছাত্রদের পড়ার অনুমোদন দেওয়া হবে না! আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে এরকমই হুঁশিয়ারি দিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে (Harvard university)। আমেরিকার (US) ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (Department of Homland Security) জানিয়েছে, বিদেশি ছাত্রদের (Students) নথিভুক্ত করতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন হারাবে। কিছু ভিসার (Visa) বিষয়ে তথ্য না দিলে এই পরিণতি হবে। মোদ্দা কথা, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি না মানলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি কৃষ্টি নোয়েম বুধবার হার্ভার্ডের ২.৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান বাতিল করবার ঘোষণা করেছেন। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিদেশি ভিসার পড়ুয়াদের হিংস্র কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য চেয়েছেন। এটা না মানলে হাভার্ডে বিদেশ ছাত্র ভর্তির অনুমোদন বাতিল করা হবে। হার্ভার্ডের এক মুখপাত্র ট্রাম্প প্রশাসনের ওই চিঠির সত্যতা মেনে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অনুদান বাতিল ও বিদেশি ছাত্র ছাত্রীদের ভিসা স্ক্রুটিনির বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও ফের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আইন মেনে চলা হবে। তবে স্বাধীনতার আত্মসমর্পণ করে নয়। সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করে নয়।
প্যালেস্তাইনের সমর্থনে ও গাজায় ইজরায়েলের ভূমিকার বিরুদ্ধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল হয়। তাতেই চটে যায় ট্রাম্প প্রশাসন। বন্ধু রাষ্ট্র ইজরায়েলের প্রতি বিদ্বেষের কারণ দেখিয়ে ফেডারেল অনুদান না দেওয়ার হুমকি দেয়। ওই ধরনের প্রতিবাদে অংশ নেওয়ায় ইতিমধ্যে ১০০-র বেশি পড়ুয়ার ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের টার্গেটে শুধু হার্ভার্ড নয়। ইতিমধ্যে ট্রাম্পের কোপে পড়েছে কলম্বিয়া, প্রিন্সটন, ব্রাউন, কর্নেল, নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়।