ওয়েব ডেস্ক : সম্প্রতি এইচ১বি ভিসার (H1B Visa) দাম (১ লক্ষ ডলার বা ভারতীয় টাকায় ৮৮ লক্ষ টাকা) অনেকটা বাড়িয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তার জেরে মাথায় হাত পড়েছিল বহু ভারতীয়র। তবে এবার দিওয়ালিতে ভারতীয়দের জন্য সুখবর শোনালেন ট্রাম্প। এই ভিসায় যে ‘ফি’ ধার্য করা হয়েছে, তার বাইরে কারা থাকবেন তার বিশদ বিবরণ দিল ট্রাম্প প্রশাসন। যা দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে মার্কিন মুলুকে থাকা বহু ভারতীয়। আপাতত যে ভারতীয়রা কর্মসূত্রে বা স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকায় রয়েছেন, তাঁদেরকে এই অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থ গুনতে হবে না।
এইচ১বি ভিসার দাম বাড়ানো নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট (Karoline Leavitt) বলেছিলেন, এইচ-১বি ভিসার (H-1B Visa) এই মূল্য হল এককালীন। ২১ সেপ্টেম্বরের পরে যারা এই ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাঁদেরকেই এই পরিমান চড়া মূল্য দিতে হবে। যাদের কাছে আগে থেকে এই ভিসা রয়েছে, তাদেরকে কোনও বাড়তি অর্থ দিতে হবে না। সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, যাদের কাছে এইচ-১বি ভিসা রয়েছে এবং যারা ইতিমধ্যে আমেরিকার বাইরে রয়েছেন তাঁদেরকেও নতুন করে কোনও অর্থ দিতে হবে না।
আরও খবর : চীনের উপর ১৫৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে! হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
এই ঘোষণার পরেই আমেরিকায় থাকা ভারতীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ, যে ভারতীয় (Indians) ছাত্র এফ ১ ভিসা ও বহু ভারতীয় কর্মী এল ১ ভিসা নিয়ে রয়েছেন মার্কিন মুলুকে। তাঁদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছিল, মার্কিন মুলুকে থাকতে হলে তাঁদেরকে এই বাড়তি অর্থ দিতে হবে কি না? তবে সোমবার এই ভিসা নিয়ে স্বস্তির খবর শুনিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এফ ১ ভিসা ও এল ১ ভিসাধারীরা যদি এইচ ১বি ভিসার (H1B Visa) জন্য আবেদন করেন অথবা আমেরিকায় থাকার জন্য মেয়াদ বাড়াতে চান, তাহলে কোনও ফি দিতে হবে না। যাঁদের কাছে এই মুহুর্তে এইচ১বি ভিসা আগে থেকেই রয়েছে তাঁদেরকে এই অর্থ দিতে হবে না। অন্যদিকে চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বরের আগে ভিসার আবেদন করেছেন, তাঁদেরকেও এই অর্থ দিতে হবে না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এইচ-১বি ভিসা সংক্রান্ত নিয়মে বদল এনেছে আমেরিকা। মূলত এই এইচ-১বি ভিসা (H1B Visa) হল একটি অভিবাসী ভিসা। এই ভিসার ফলে বহু দক্ষ কর্মী বিভিন্ন দেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (America) কাজ করতে পারেন। ১৯৯০ সালে এই ধরণের ভিসা চালু হয়েছে আমেরিকায়। প্রাথমিকভাবে এই ভিসার মেয়াদ থাকে তিন বছর। সর্বোচ্চ এই ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা যায় ছ’বছর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে গ্রিন কার্ডের জন্যও আবেদন করতে পারেন অভিবাসীরা। তা পেয়ে গেলে তখন নিজের ইচ্ছা মতো এইচ-১বি ভিসার মোয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। তার উপর কোপ বসিয়েছিলেন ট্রাম্প প্রশাসন। এবার তা নিয়ে স্বস্তির খবর শোনাল তারা।
দেখুন অন্য খবর :