ওয়েবডেস্ক: বৈষম্য বিরোধী আইন (Anti-Discrimination Act) অনুযায়ী রূপান্তরিত নারী (Transformed women) মহিলা নন। যাঁরা জন্মগতভাবে নারী, তাঁদেরই শুধু নারী হিসেবে গণ্য করা হবে, রায় ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের (British Supreme Court) ।
২০১০ সালের সাম্য আইন (equality law) অনুযায়ী মহিলা এবং এবং তার লিঙ্গ পরিচয়ের ক্ষেত্রে ‘বায়োলজিক্যাল ওমেন’ এবং ‘বায়োলজিক্যাল সেক্স’কে প্রামাণ্যতা দেওয়া হয়েছে, রায় পাঁচ বিচারপতির (Five judges) ।
এই রায়ের জেরে রূপান্তরকামীদের আইনি অধিকারের প্রশ্ন বিরাট ধাক্কা খেল বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। কারণ কাদের মহিলা বলা হবে, সেই ব্যাপারে এই রায় মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে।
আরও পড়ুন:পরিবারের অমতে বিয়ে করলে, মিলবে না পুলিশি সুরক্ষা, বিতর্কিত রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের
পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিতদের দেওয়া হয় জেন্ডার রেকগনিশন সার্টিফিকেট (জিআরসি)। এর ফলে রূপান্তরিত মহিলাদের ওই শংসাপত্র ব্রিটিশ সাম্য আইন অনুযায়ী গ্রাহ্য হবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছিল।
অন্যদিকে রূপান্তরকামিদের বক্তব্য, এর ফলে অন্য সব কিছু বাদ দিলেও কর্মক্ষেত্রে রূপান্তরিত নারীরা বৈষম্যের শিকার হবেন।
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে রূপান্তরকামীদের অধিকার রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আরও বহু দেশে বিষয়টি প্রায় একই রকম। সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সামরিক বাহিনীতে রূপান্তরকামীদের নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক নির্দেশ ইতিমধ্যেই জারি করেছেন।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই রায়দানের ফলে আগামীদিনে এর প্রভাব পড়তে চলেছে স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে লিঙ্গভিত্তিক অধিকারগুলির উপরে।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে রায়দান করতে গিয়ে বিচারপতি লর্ড হজ বলেন, ২০১০ সালের সমতা আইনে ‘নারী’ এবং ‘লিঙ্গ’ শব্দ দুটি জৈবিক নারী এবং জৈবিক লিঙ্গকেই বুঝিয়ে থাকে। জৈবিক লিঙ্গের উল্লেখ করে সমতা আইনের সঠিক ব্যাখ্যা রূপান্তরকারী মহিলাদের জন্য অসুবিধার কারণ হবে না।
এই রায়দানের পরেই ‘ফর উইমেন স্কটল্যান্ড’ সংগঠনের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে কৃতজ্ঞতা জানান হয়েছে। এই সংগঠনের তরফে যুক্তি, শীর্ষ আদালতের রায়দানের জেরে এবার জন্মগতভাবে যারা নারী তারা নিজেদের নিরাপদ বলে মনে করবেন, তারা নিজের জন্য সমস্ত সুবিধা ও অধিকারগুলি পাবেন।
দেখুন অন্য খবর: