ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তিতে উপনীত হয়েছে আমেরিকা ও চিন (America and China)। সুইস সরকারের মধ্যস্থতায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই পক্ষ সম্মত হয়। হোয়াইট হাউস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই খবর জানানো হয়েছে। যদিও চুক্তির সম্পূর্ণ বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে আন্তর্জাতিক মহলে এটিকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চুক্তির ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলোচনার আগে তিনি জানিয়েছিলেন, চিনের উপর আরোপিত আমদানি শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮০ শতাংশে আনার ব্যাপারে তিনি আগ্রহী। এটি দুই দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় একটি বড় পরিবর্তনের সূচনা করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতিকে স্বাগত জানালেন পোপ লিও
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেস্যান্ট বলেন, “আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির দিকে এগিয়ে গেছি। আমি সুইস আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই এবং আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বিষয়ে অবগত আছেন, আগামীকাল সকালেই এই চুক্তির বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।”
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, “শেষ দুই দিন অত্যন্ত গঠনমূলক পরিবেশে কেটেছে। আমরা দ্রুত একমত হতে পেরেছি, যা প্রমাণ করে আমাদের মতপার্থক্য অতটা গভীর নয়।” তিনি আরও জানান, বর্তমানে আমেরিকা ১২০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতির মুখে রয়েছে এবং এই চুক্তি সেই ঘাটতি কাটাতে সহায়তা করবে।
গত কয়েক বছর ধরে চিন ও আমেরিকার মধ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং তার প্রভাব পড়ে বিশ্ব অর্থনীতিতেও। এই পরিস্থিতিতে জেনেভার এই চুক্তিকে বাণিজ্য যুদ্ধের অবসানের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ধরা হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: