কাবুল: দুই দশক পরে ফের তালিবানদের দখলে আফগানিস্তান। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমগ্র দেশটি চলে গেল মৌলবাদীদের দখলে। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। দেশের অভ্যন্তরে রক্তের বন্যা রুখতেই আফগানিস্তান ছাড়ার মতো বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ঘানি।
আরও পড়ুন- সংসদে আলোচনা ছাড়াই বিল পাস কেন, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
সোশ্যাল মিডিয়া মারফত আফগান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আশরাফ ঘানি জানিয়েছেন নিজের বক্তব্য। তিনি বলছেন, “রক্তের বন্যা রুখতে আমাকে দেশ ছাড়তে হল।” ঘানির মতে, “আমি চরম প্রতিকূলতার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমি দুর্গে লুকিয়ে থাকলে তালিবানেরা কাবুলে হামলা করত। অনেক সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলত।”
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উসকানিমূলক স্লোগান ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ
একই সঙ্গে মহম্মদ আশরাফ ঘানি আরও বলেছেন, “আমি আফগানিস্তানে থাকলে অনেক জাতীয়তাবাদী মানুষ শহিদ হয়ে যেতেন। আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেতো এবং বিধ্বস্ত হয়ে থাকতো। সেই রক্তের বন্যা দেখার থেকে আমার সরে যাওয়াকেই আমি শ্রেয় বলে মনে করলাম।”
আরও পড়ুন- রাজ্যে কমল দৈনিক সংক্রমন, কমেছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও
প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ইন্টেরিয়র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। রবিবার (১৫ অগস্ট) সন্ধেয় সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা এ খবর প্রকাশ করলেও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের দাবি, নিরাপত্তার কারণে আশরাফ ঘানির গতিবিধির বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না। অন্যদিকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালিবান প্রতিনিধিরা ঘানির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালাতেই সমন্বয় পরিষদ গঠিত হল আফগানিস্তানে৷ আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ, হামিদ কারজাই এবং হেকমতিয়ার সমন্বয় পরিষদ গঠন করেছেন৷ নাগরিকদের সুরক্ষা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শান্তিপূর্ণ ভাবে সুনিশ্চিত করতে এই সমন্বয় পরিষদ গঠন করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসের দিন জুতো পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী
হামিদ কারজাই বলেন, দেশ থেকে মোহাম্মদ আশরাফ ঘানি এবং অন্যান্য আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর একটি সমন্বয় পরিষদ গঠিত হয়েছে। আব্দুল্লাহ আবদুল্লাহ, হামিদ কারজাই এবং গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার ওই পরিষদের সদস্য।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তানকে মুসলিম আমিরশাহি ঘোষণার হুঁশিয়ারি তালিবানদের