কলকাতা: পেরিয়ে গিয়েছে ১১১ বছর। সময়টা ছিল ১৪ এপ্রিল, ১৯১২। ইংল্যান্ডের (England) সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক (New York) যাওয়ার সময় আটলান্টিক মহাসাগরে (Atlantic Ocean) তলিয়ে যায় টাইটানিক (Titanic)। প্রথম যাত্রাপথেই আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষে জলের নীচে চলে যায়। এই ঘটনায় ১,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। ভাগ্যের জেরে বেঁচে ফিরেছিলেন কিছু যাত্রী। মহাসাগরের অতলে, ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে এই মুহূর্তে পড়ে রয়েছে তার অবশিষ্টাংশ। কিন্তু তাকে ঘিরে মানুষের মনে কৌতূহল রয়ে গিয়েছে আজও। সেই উৎসুক মানুষজনের জন্যই জলের নীচে পড়ে থাকা টাইটানিকের ঝকঝকে ছবি সামনে এল এবার। বুধবারই বিবিসির তরফে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, আটলান্টিক মহাসাগরের অতল গভীরে, ১৯৮৫ সালে প্রথম টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের (Ship Wreck) সন্ধান মিলেছিল। কিন্তু এত গভীরে, অন্ধকারে পড়ে রয়েছে সেটি যে, তার অস্পষ্ট ছবিই তোলা সম্ভব হয়েছে এখনও পর্যন্ত। কিন্তু ডিজিটাল স্ক্যান করে যে ছবি সামনে আনা হয়েছে, তাতে সম্পূর্ণ জাহাজ, তার ভগ্নাংশও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জাহাজের অগ্র এবং পশ্চাৎ ভাগ আলাদা আলাদা পড়ে রয়েছে। মাঝখানে প্রায় ২ হাজার ৬০০ ফুট দূরত্ব। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভগ্নাংশ। পুরোও জাহাজটি এর আগে কখনোই একবারে দেখা যায়নি।
ম্যাগেলান লিমিটেড নামের একটি গভীর-সমুদ্র ম্যাপিং কোম্পানি এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন কোম্পানি মিলে ২০২২ সালে ধ্বংসাবশেষের এই স্ক্যান ছবি তৈরি করেছে। ধ্বংসাবশেষের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ জরিপ করতে ডুবোজাহাজে বিশেষজ্ঞ দলের ২০০ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। প্রত্যেক কোণ থেকে ৭ লাখের বেশি ছবি নেওয়ার পর একটি পূর্ণাঙ্গ থ্রিডি ভিউ তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শতবর্ষ আগে দুর্বিষহ এক রাতে টাইটানিকের ঠিক কী হয়েছিল, সেই ব্যাপারে নতুন কিছু জানার পথ খুলবে।