কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : জুলিয়ান আসাঞ্জকে নিজেদের দেশে ফেরত চেয়ে আদালতে আরও একবার আবেদন করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। উইকিলিকস্-এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে আঠারোটি মামলা রয়েছে বাইডেনের দেশে। এই মুহূর্তে ব্রিটেনের বেলমার্শ কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। ব্রিটেনের আদালতে মার্কিন আইনজীবীর বক্তব্য, ‘মানসিক স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে আসাঞ্জের প্রত্যর্পণের বিষয়টি আটকে রাখা যায় না। তাঁকে মার্কিন আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’
২০১০ সালে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। উইকিলিকস্ তখন একের পর এক চাঞ্চল্যকর সব তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছে। মার্কিন সরকারের একাধিক গোপন ফাইল এবং কূটনৈতিক কথোপকথনের কেবল্ সব প্রকাশ্যে এনে দেয় আসাঞ্জের প্রতিষ্ঠান উইকিলিকস্। মার্কিন সরকার সে সময় চরবৃত্তির যে আইন তা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে আসাঞ্জের বিরুদ্ধে।
লন্ডনের আদালতে বুধবার আসাঞ্জের প্রত্যর্পণের বিষয়ে মার্কিন সরকারের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী জেমস লিউইস। নিম্ন আদালতের একটি পর্যবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে এ দিন বক্তব্য রাখেন লিউইস। তাঁর দাবি, নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ ভুল। এর আগে নিম্ন আদালত জানায়, আসাঞ্জের মানসিক স্বাস্থ্যের ঠিক নেই। আমেরিকায় প্রত্যর্পণ করা হলে, সেখানকার জেলে আত্মহত্যা করতে পারেন জুলিয়ন আসাঞ্জ। আদালতে মার্কিন সরকারের সই করা প্রতিশ্রুতি পত্র জমা দেন আইনজীবী জেমস লিউইস। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথি মিডিয়ার হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন – কেন্দ্রের আবেদন খারিজ, সুপ্রিম কোর্টের ঠিক করা কমিটিই খুঁজে দেখবে কীভাবে পেগাসাস
জুলিয়ান আসাঞ্জের সমর্থকেরা বুধবার আদালত চত্বরে ভিড় করেছিলেন। স্লোগান দিচ্ছিলেন, জুলিয়ন আসাঞ্জকে মুক্তি দিতে হবে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই জুলিয়নের বাবা সেখানে পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন জুলিয়নের সঙ্গী স্টেলা মরিস এবং দুই সন্তান। উইকিলিকস্ তথ্য-ফাঁস মামলায় জুলিয়ানের দাবি তিনি কোনও অপরাধ করেননি। ব্রিটেনের বেলমার্শ কারাগারে বন্দি রয়েছেন আসাঞ্জ। বুধবার সেখান থেকেই ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আসাঞ্জের আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালতে জানানো হয়, ‘আসাঞ্জ শারীরিক ভাবে সুস্থ নেই। হাজিরা দিতে পারবেন না।’