কাবুল: আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপনই তাদের লক্ষ্য। আশরাফ ঘানির ব্যর্থতা্র জন্য দুর্বৃত্তরাজ চলেছে দেশজুড়ে। আফগানিস্তান দখলের পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করল তালিবান। তাদের মুখপাত্রের দাবি, শরিয়ত আইন মেনে দেশ চলবে। এই আইন মোতাবেক মহিলাদের স্বাধীনতা দেওয়া হবে এবং কোনও রকম অশান্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন- কাবুল বিমান বন্দরের চরম অব্যবস্থা-বিশৃঙ্খলার ছবি ধরা পড়ল স্যাটেলাইট ক্যামেরায়
মুখপত্র সাবিউল্লাহ মুজাহিদের দাবি, এতদিন যে সব বিদেশি শক্তি তালিবানদের উপর ‘হামলা’ চালিয়েছে, তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সংবাদিক বৈঠকে তালিবানদের তরফে ‘আশ্বাস’ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি বিদেশি দূতাবাসকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা হবে। আফগানিস্তানে আটকে থাকা বিদেশি নাগরিকদের প্রতিও সহানুভূতির কথা শুনিয়েছে প্রকাশ্যে নাগরিকদের চুল কেটে শাস্তি দেওয়া তালিবান জঙ্গিরা।
গত রবিবার আফগানিস্তান নিজেদের দখলে আনে তালিবান জঙ্গিরা। তারপর দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে চরম অরজগতা। আতঙ্কে কাবুল- আফগানিস্তান ছাড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। পালাতে গিয়ে তালিবানের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। প্রকাশ্যে আসতে ভয় পাচ্ছেন মহিলারা। পরিবারের সকলকে হারিয়ে প্রকাশ্যে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে একরত্তি শিশুকে। দেশজুড়ে যখন চরম অরাজকতা তৈরি হচ্ছে তখনই সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের সাফাই দিল তালিবান জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন – বন্দুকের নলের মাঝে শৈশব, সিরিয়ার স্মৃতি ফিরল কাবুলে
মহিলাশূন্য কাবুলের রাস্তা যে ভয়াবহতার নজির গড়ছিল সেই কাবুল থেকেই তালিবানিদের সাফাই, শরিয়ত আইন মেনে মহিলাদের অধিকার কায়েম করবে তারা। শুধু মহিলা নয়, এতদিন আফগানিস্তান পুনর্গঠনের দায়িত্ব ছিল যে আমেরিকার হাতে সেই মার্কিনীদের ‘ক্ষমা’ করে দেওয়ার কথাও শুনিয়েছে তালিবান মুখপাত্র।
তালিবান সাংবাদিক বৈঠক করে যতই শান্তির কথা বলুক না কেন, বাস্তব পরিস্থিতি যে ক্রমশই খারাপ হচ্ছে তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার। পরিস্থিতি যে আরও ভয়াবহ হবে তা নিয়েও সন্দেহ নেই। বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে ভারত-আমেরিকার বৈদেশিকনীতিও।