ওয়েব ডেস্ক: ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের (Champions League) শিরোপা জিতেছে প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন ক্লাব। এরপরই প্যারিস (Paris) জয়ের আনন্দে উৎসবে মেতে ছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু সেই আনন্দ কিছুক্ষনের মধ্যেই ধুলোয় মিশল। উন্মত্ত উল্লাসে ঘটল একের পর এক দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আহত বহু পুলিশ কর্মী। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৫০০-র বেশি ।
প্যারিসের (Paris) পার্ক দেস প্রিন্সেস স্টেডিয়াম ও চ্যাম্পস-এলিসি অ্যাভিনিউতে (Avenue) খেলা দেখতে ও উদযাপন করতে জড়ো হয়েছিল প্রায় ৪৮ হাজার দর্শক। জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজি, হর্ন, নাচ-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে গোটা শহর। আইফেল টাওয়ারও (Eiffel Tower) রাঙানো হয় লাল-নীল রঙে। কিন্তু এরইমধ্যে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিশৃঙ্খলা ও অবৈধ আতশবাজি থাকার অভিযোগে অন্তত ৩০০ জনকে আটক করা হয়। সেইসময়ই দাঙ্গাকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে শুরু করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে ফের ট্রেন দুর্ঘটনা রাশিয়ায়
জানা গিয়েছে, এই আনন্দের মাঝে মারা গিয়েছে ১৭ বছরের একটি ছেলে ও ২৩ বছরের এক যুবকের। পাশাপাশি, প্যারিসে বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়িতে। বিভিন্ন যাত্রী প্রতীক্ষালয়েও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশের দাবি, সমর্থকেরা বাজি ফাটাচ্ছিলেন, সেই আগুনই ছড়িয়ে যায় চারিদিকে।
ফ্রান্সের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৯২ জন আহত। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৫৯ জনকে। এর মধ্যে ৪৯১ জনই প্যারিসের বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় ২২ জন পুলিশকর্মী এবং সাত জন দমকলকর্মী আহত হয়েছেন। ২৬৪টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাস্তার ধারের বিভিন্ন দোকানে লুট চালায় অনেকে, এমনই অভিযোগ।
উৎসবের আনন্দ যে মুহূর্তের মধ্যে এই রূপ নেবে, তা কে জানত। এই ঘটনার পর আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না স্থানীয়দের।
দেখুন অন্য খবর