গাজা: অবরুদ্ধ গাজা (Gaza)। ইজরায়েলি (Israel) সেনাবাহিনী শুক্রবার জানাল, গাজা শহরকে ঘিরে ফেলেছে এবং গোটা শহর দখলে এগিয়ে চলেছে জওয়ানরা। ওদিকে, প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া শহরের বেঁচে থাকা বাসিন্দাদের রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও যুদ্ধবিরতিতে (Ceasefire) রাজি নয় ইজরায়েল।
গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে দেখা গেল, যেন এই মুহূর্তে কোনও ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ঘটে গিয়েছে। এখানে কোনওদিন বাড়িঘর ছিল এখন তা দেখে বোঝার উপায় নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা খালি হাতে ইট-কাঠ-পাথর সরিয়ে আত্মীয়-পরিজনের কণ্ঠস্বর শোনার জন্য ধ্বংসস্তূপে কান পাতছেন।
কোথাও কোনও শব্দ নেই। যেসব বাড়িতে কয়েকদিন আগেও সুখী সংসার ছিল, তা এখন গুঁড়ো করে দিয়েছে ইজরায়েলি বোমা। এখানে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র হেনেছে ইজরায়েল। একজন বলেই ফেললেন, ভূমিকম্পও হয়তো এত ক্ষতি করতে পারত না। হাতে একটা ছবি ও নোটবুক নিয়ে তিনি হাতড়ে বেড়াচ্ছেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া পরিবার-পরিজনকে। অন্য একজন বললেন, তিনি তাঁর বোন এবং ভাগ্নিকে খুঁজছেন। ওরা হয়তো এই ধ্বংসস্তূপের নীচেই পড়ে রয়েছে। এখন হয়তো আর বেঁচে নেই। শহীদ হয়ে গিয়েছে।
ইজরায়েলের সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির কোনও চিন্তা এই মুহূর্তে নেই। শুক্রবার রাতভর ইজরায়েল বোমা বর্ষণ করেছে গাজায়। প্যালেস্তাইন এলাকায় অন্তত ৯০৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলি হানায়।
ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, গাজার উত্তর ভূখণ্ড তারা ঘিরে ফেলেছে। এখন তারা আরও এগিয়ে চলেছে হামাসকে (Hamas) পুরোপুরি নিকেশ করতে। অন্যদিকে, যুদ্ধবন্দিদের খোঁজে গাজার আকাশে চরকিপাক খাচ্ছে মার্কিন (US) ড্রোন। ইজরায়েলি স্থল সেনার সঙ্গে বিমান ও নৌ বাহিনীও সমানতালে হানা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে, সব মিলিয়ে যুদ্ধের ২৭-তম দিনে হামাস বাহিনী যথেষ্ট কোণঠাসা হলেও সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন সাধারণ প্যালেস্তিনীয়রা।
ইজরায়েল বিবৃতিতে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ জন হামাসকে তারা খতম করেছে। এখনও রকেট লঞ্চিং প্যাড, অস্ত্রভাণ্ডার ও সুড়ঙ্গ ধ্বংস করার কাজ চলছে।