কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রবল বিশৃঙ্খলা আর গন্ডগোলের জেরে কমপক্ষে ১০ জন আফগান নাগরিক প্রাণ হারালেন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এদিন বিমানবন্দরে আফগানিস্থানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার করতে বিমান পাঠায় বিভিন্ন দেশ। বিদেশী দূতাবাসগুলোর থেকে তাদের কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়ে যেত আমেরিকা ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিমান অবতরণ করে সে দেশে। আর সেই সময়ই দেশ ছেড়ে প্রাণে বেঁচে পালাতে উন্মত্ত আফগানরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করে। তারপরেই যেকোনো ভাবে হোক বিমানে চেপে বসতে উদ্যত হয়। শুরু হয় হই হট্টগোল। দেখা যায় চরম বিশৃঙ্খলা।
এমন পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উন্মত্ত আফগান জনতার উপর মার্কিন সেনারা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাতে মৃত্যু হয় দুই আফগান নাগরিকের। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় মার্কিন প্রশাসনকে। এই ঘটনায় বিশৃঙ্খলা আরও চরমে পৌঁছয়। যার ফলে পদপিষ্ট হয়ে দশ অবতার নাগরিকের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত আরও ১০। এমনটাই জানানো হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে।
Photos show people trying to enter Kabul airport by climbing on blast walls surrounding it. pic.twitter.com/3TBQVKNTqP
— TOLOnews (@TOLOnews) August 16, 2021
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা চলে গেলেও এখনো পর্যন্ত বিমানবন্দরটি মার্কিন সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন।
এদিন মার্কিন কর্মীদের ফিরে নিজের একটি আমেরিকান বায়ুসেনার বিমান অবতরণ করে। সেই বিমানটিকে আঁকড়ে ধরে পালানোর এক মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এমনকি উড়ন্ত বিমান থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। এদিন এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য বারবার সম্প্রচারিত হয়েছে সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে।
অন্যদিকে, এই চরম বিশৃঙ্খলা আর জন্য আশরাফ খানি প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন হামিদুল্লাহ মাশরুর নামে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। মোহাম্মদ রবি নামে কাবুলের বাসিন্দা বলেন আমরা পরিবারের ছয় জন। এই অস্থির পরিস্থিতিতে আমরা যেকোন ভাবেই
কাবুল ছেড়ে পালাতে চাই। আমার কাছে পর্যাপ্ত পয়সা নেই। সন্তানদের খাওয়াতে পর্যন্ত পারছিনা। গলায় আক্ষেপের সুর খারাপ পড়ল এরকম হাজারো কাবুলের বাসিন্দাদের।
যদিও এদিন মসনদে বসার পর শান্তি স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন কাবুলের নয়া তালিবান গভর্নর মোল্লা শিরিন। কিন্তু সেই আশ্বাসে একফোঁটাও বিশ্বাস করতে রাজি নয় আফগানরা। সোমবার সারাদিনের সেই দৃশ্যগুলো ই সেই কথা স্পষ্ট প্রমাণ করল।