ওয়েব ডেস্ক: শুল্ক যুদ্ধের (Tariff War) কুয়াশায় ঢেকেছে বিশ্ব অর্থনীতি (World Economy)। আর এই কূটনৈতিক সংঘাতে মুখোমুখি বিশ্বের দুই মহাশক্তি- আমেরিকা (USA) এবং চীন (China)। কে আগে নতিস্বীকার করবেন, ট্রাম্প (Donald Trump) নাকি জিনপিং (Xi Jinping)? এর উত্তর এখনও অজানা। তাই দিন দিন দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে।
সম্প্রতি, বেজিংয়ের তরফে ঘোষণা করা করেছে যে, তারা আমেরিকার কৃষিপণ্যের আমদানি ধাপে ধাপে কমাবে। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমেরিকাও চীনা পণ্যের উপর ১২৫% নয়, বরং ১৪৫% আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে, অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমেরিকার শুল্ক সংঘাতের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমেছে। কিন্তু চীনের সঙ্গে মার্কিন মুলুকের সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: আমেরিকার শুল্ক বোমা, জানুন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে নেপথ্যের মাথা কে?
শুল্ক নিয়ে দুই দেশের এই উত্তেজনার পরপরই আমেরিকার শেয়ার বাজারে পতন শুরু হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা-র ডিরেক্টর জেনারেল এনগোজি ওকোনজো-আইওয়েলা সতর্ক করে দিয়েছেন, এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য রেষারেষি সারা বিশ্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্বের মোট বাণিজ্যের ৩% শুধুমাত্র এই দুই দেশের মধ্যে ঘটে। সেখানে টানাপোড়েন বাড়লে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দরিদ্র দেশগুলো।
এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজার্ভের মার্চ মাসের ঋণনীতির কার্যবিবরণী সামনে এসেছে। সেখানে মূল্যবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সম্ভাব্য চাপের উল্লেখ করে বলা হয়েছে। এদিকে আবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানি দিয়েছে, আমেরিকার সাময়িক শুল্ক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তারাও আগামী ৯০ দিনের জন্য আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ স্থগিত রাখবে। অন্যদিকে, চীনও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও ভারসাম্যপূর্ণ করতে উদ্যোগী হয়েছে। দুই দেশের শুল্ক সংঘাত কোথায় গিয়ে থামে, তার উপরেই নির্ভর করবে আগামী দিনের অর্থনৈতিক গতিপথ।
দেখুন আরও খবর: