কাবুল: তালিবান আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পরেই দেশ ছেড়েছিলেন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কার্যনির্বাহী গভর্নর আজমল আহমেদি। তার পর থেকেই দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। রাজনৈতিক ডামাডোলের কারণে মাসখানেক ধরেই পড়তে শুরু করেছিল আফগানিস্তানের টাকার (আফগানি) দাম। তালিবান কাবুল দখলের পর তা আরও পড়েছে। মহা সংকটে দেশের অর্থনীতি।
সাধারণ মানুষের হাতে টাকার যোগান নেই। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক Da Afghanistan Bank (DAB) অনুমতি না দেওয়ায় কোনও ব্যাঙ্কেই এখন আর টাকা আসছে না। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় অন্যান্য দেশগুলিও তালিবানকে আর্থিক সহায়তার ঝুঁকি নেয়নি। এদিকে DAB-র হাতে রয়েছে বিপুল সম্পদ। ব্যাঙ্কের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী গভর্নরের দাবি অনুযায়ী, তা প্রায় ১০০০ মার্কিন ডলার।
স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতায় এসে এই বিপুল অর্থ নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে তালিবানরা। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে তালিবান আফগানিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নতুন ভারপ্রাপ্ত গভর্নর নিয়োগ করেছে। দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তালিবান নেতা হাজি মহম্মদ ইদ্রিসকে। তালিবান নেতা মোল্লা আক্তার মনসুরের মৃত্যুর পর সংগঠনের যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন ইদ্রিস। দেশের অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে আপাতত তাঁর উপরই ভরসা রাখল তালিবান।
আরও পড়ুন: আফগান পরিস্থিতি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক মোদির
আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (International Monetary Fund) জানিয়ে দিয়েছে, আফগানিস্তানের গচ্ছিত জরুরি পুঁজি ব্যবহার করতে পারবে না তালিবান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আমেরিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা আফগান সরকারের টাকাও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না তালিবানদের। হাজি মহম্মদ ইদ্রিস দায়িত্ব নিয়ে কীভাবে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেন সে দিকেই তাকিয়ে ৩৮ মিলিয়ন আফগান।
গত এক সপ্তাহ ধরে তালিবান-তাণ্ডবে ত্রস্ত কাবুল-সহ গোটা আফগানিস্তান৷ ৩১ অগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর শেষ দিন হলেও, পরিস্থিতির চাপে খুব সম্ভবত দিন পরিবর্তন করতে পারে আমেরিকা। সরকার গঠন নিয়েও ধীরে চলো নীতি নিয়েছে তালিবান। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আগেই জানিয়েছেন, সবপক্ষের মতামত নিয়ে শক্তিশালী সরকার গঠন করা হবে। সরকার গঠনের আগে অর্থনীতি চাকা ঘোরাতে আফগানিস্তান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের দখল নিল তালিবান।
আরও পড়ুন: Video Conferencing: ভিডিও কনফারেন্সে স্ক্রিন শেয়ার করুন এই ভাবে