কাবুল: মাস খানেক ধরে অচলাবস্থা চলছে কাবুলিওয়ালার দেশে আফগানিস্তানে। দেশটির অধিকাংশ জায়গার দখল নিয়েছে তালিবানেরা। আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণে দাপট বেড়েছে তালিবানদের। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে শুরু হয়েছে আলোচনা। এরই মাঝে বড় অঘটন ঘটল রবিবার।
আরও পড়ুন- জোড়া বিস্ফোরণে মাঝরাতে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত কুন্দুজ শহরের দখল নিল তালিবান। শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণের মাধ্যমে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে সমগ্র শহরে। এরপরে কয়েকটি সরকারি অফিস এবং বিমানবন্দর ছাড়া সবই চলে গিয়েছে তালিবানদের দখলে। অত্যন্ত নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ওই শহরে।
আরও পড়ুন- হিন্দু ধর্মকে বিপদে ফেলেছে শিবসেনা, দাবি বিজেপি বিধায়কের
ভৌগলিক ও কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই কুন্দুজ শহর। সেই সঙ্গে সার-ই-পুল প্রদেশও এখন তালেবানের দখলে। কুন্দুজ আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে যাওয়ার প্রধান প্রবেশপথ। রাজধানী কাবুল এবং উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নগরীর সঙ্গে মহাসড়কের মাধ্যমে সরাসরি সংযোগ আছে কুন্দুজের। তাজিকিস্তানের সঙ্গে অভিন্ন সীমান্তও আছে এই প্রদেশের।
আরও পড়ুন- প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, প্রাক্তন মন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি জেলা সভাপতির
এই সীমান্তপথ দিয়েই আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিম এবং হিরোইন মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে পাচার করা হয়, সেখান থেকে যায় ইউরোপে। কুন্দুজ নিয়ন্ত্রণ করার মানে হচ্ছে এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাদক চোরাচালানের রুট নিয়ন্ত্রণ করা। ২০১৫ সালে শহরটির দখল নিলেও তা ধরে রাখতে পারেনি তালিবান। ২০১৬ সালে আবার কুন্দুজ তালিবানের হাতছাড়া হয়ে যায়।
তালিবানের কাছে কুন্দুজের এই বিজয়ের একটি প্রতীকী তাৎপর্যও আছে। ২০০১ সালের আগে এটি ছিল উত্তরাঞ্চলে তাদের অন্যতম ঘাঁটি। আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে এ নিয়ে চতুর্থ প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নিল তালিবান। শনিবার দ্বিতীয় প্রাদেশিক রাজধানী শেবারগান দখল নেয় তালেবান। এর আগে শুক্রবার বিকালে নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী জারঞ্জ দখলে নেয় তারা।