কাবুল: দখল করে নেওয়া হয়েছে সমগ্র দেশের। দেশের বিভিন্ন এলাকার সরকারি দফতর এখন তাদের দখলে। সেই জঙ্গি সংগঠন এবার দখল করে নিল আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি ভবন বা Presidential Palace-এর। একাধিক শরিকদের নিয়ে সরকার গঠনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তানে রক্তের বন্যা রুখতেই দেশ ছেড়েছি: প্রেসিডেন্ট ঘানি
পরিস্থিতি ক্রমশ প্রতিকূল হতেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রসিডেন্ট মহম্মদ আশরাফ ঘানি। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালাতেই সমন্বয় পরিষদ গঠিত হল আফগানিস্তানে৷ আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ, হামিদ কারজাই এবং হেকমতিয়ার সমন্বয় পরিষদ গঠন করেছেন৷ নাগরিকদের সুরক্ষা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শান্তিপূর্ণ ভাবে সুনিশ্চিত করতে এই সমন্বয় পরিষদ গঠন করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- সংসদে আলোচনা ছাড়াই বিল পাস কেন, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
হামিদ কারজাই বলেন, দেশ থেকে মোহাম্মদ আশরাফ ঘানি এবং অন্যান্য আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর একটি সমন্বয় পরিষদ গঠিত হয়েছে। আব্দুল্লাহ আবদুল্লাহ, হামিদ কারজাই এবং গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার ওই পরিষদের সদস্য। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ বলেছেন, “তালিবান জঙ্গিদের কাবুল শহরে প্রবেশ করে এলাকার দখল নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয়ে এখন নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।”
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উসকানিমূলক স্লোগান ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ
দেশ ছাড়ার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত আফগান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আশরাফ ঘানি জানিয়েছেন নিজের বক্তব্য। তিনি বলছেন, “রক্তের বন্যা রুখতে আমাকে দেশ ছাড়তে হল।” ঘানির মতে, “আমি চরম প্রতিকূলতার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমি দুর্গে লুকিয়ে থাকলে তালিবানেরা কাবুলে হামলা করত। অনেক সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলত।”
একই সঙ্গে মহম্মদ আশরাফ ঘানি আরও বলেছেন, “আমি আফগানিস্তানে থাকলে অনেক জাতীয়তাবাদী মানুষ শহিদ হয়ে যেতেন। আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেতো এবং বিধ্বস্ত হয়ে থাকতো। সেই রক্তের বন্যা দেখার থেকে আমার সরে যাওয়াকেই আমি শ্রেয় বলে মনে করলাম।” প্রেসিডেন্ট ঘানি দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ইন্টেরিয়র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসের দিন জুতো পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী