কাবুল: ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মহিলাদের (Women) বিষয়ে একের পর এক ফরমান জারি করে চলেছে তালিবান প্রশাসন (Taliban Administration)। কখনও মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করা, আবার কখনও কর্মক্ষেত্র থেকে মহিলাদের দূরে রাখা, বা রাস্তায় বের হতে গেলে মহিলাদের সঙ্গে পুরুষ নিয়ে বের হওয়ার নির্দেশ। এবার নারীদের অধিকার আরও খর্ব করল তালিবান সরকার। আফগানিস্তানে এবার তৃতীয় শ্রেণিতে উঠলেই মেয়েদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে স্কুলের দরজা। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রভিন্সে ‘মিনিস্ট্রি ফর প্রিচিং অ্যান্ড গাইডেন্স’ বয়সের নিরিখে মেয়েদের আলাদা করছে। সেখানে ফতোয়া জারি হয়েছে, ১০ বছরের ঊর্ধ্বে কোনও মেয়ে প্রাইমারি স্কুলে পড়তে যেতে পারবে না।
যদিও মেয়েদের উচ্চশিক্ষার উপর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তালিবান। গত ডিসেম্বর মাসে ছেলেদের জন্য হাইস্কুল খুললেও মেয়েদের জন্য আর খোলেনি। তবে, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনার সুযোগ দিয়েছিল তালিবান। আর এবার আরও একধাপ এগিয়ে আফগানিস্তানে তালিবান সরকার ফতোয়া জারি করেছে, ১০ বছরের বেশি বয়সি কোনও ছাত্রী স্কুলে যেতে পারবে না। বেশ কিছু অঞ্চলে তৃতীয় শ্রেণির ওপরে মেয়েদের বাড়ি পাঠাতে বলেছে তালিবান সরকার। গজনি প্রদেশের তালিবান শাসিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্কুলের প্রধানদের এবং স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে এই মর্মে নির্দেশিকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে তালিবান কর্মকর্তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহিলাদের উপর নিষেধাজ্ঞার জারি করেছিল। আফগানিস্তানে মহিলাদের কাজের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে তালিবান। কিছুদিন আগেই ৪৬৯ জন কিন্ডারগার্টেন (Kindergarten) পড়ানোর শিক্ষিকার চাকরি চলে গিয়েছে (Jobless)। এর ফলে মহিলাদের (Women) অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে পড়ে। বহু পরিবারের আয় বন্ধ হয়ে যায়। কচিকাঁচারা তাঁদের মাতৃসম শিক্ষিকাদের (Educator) হারিয়েছে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা। কে শোনে কার কথা। তালিবানের কড়া হুকুম জারির ফল ভুগতে হল। ঘটনার জেরে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, চাকরি হারানো ওই শিক্ষিকারা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।