ওয়েব ডেস্ক: ফের উত্তেজনার আগুনে জ্বলে উঠল এশিয়ার এক দেশ। এবার মর্মান্তিক হামলার শিকার মায়ানমারের (Myanmar) একজোড়া স্কুল। শনিবার গভীর রাতে সামরিক জুন্টা (Junta) বাহিনীর বিমান দেশের পশ্চিম রাখাইন প্রদেশের দুটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের উপর বোমা (Bomb Blast) ফেলে। এই হামলায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২২ জন পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে কিয়াউকতাও শহরের আবাসিক বিদ্যালয়ে।
জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (Arakan Army) টেলিগ্রামে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই হামলার জন্য তারা সরাসরি সামরিক জুন্টাকে দায়ী করছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নিরীহ শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর জন্য আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। এটি মানবতার বিরুদ্ধে এক নৃশংস অপরাধ।” অন্যদিকে, সামরিক বাহিনী এই হামলার বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: তালিবানের হামলায় ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন্টার যুদ্ধবিমান প্রায় ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলে স্কুলের আবাসিক ভবনের উপর। এতে ছাত্রদের হোস্টেল ভেঙে পড়ে এবং বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকরা এই হামলাকে ‘বর্বরতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউনিসেফ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২১ সালে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। জুন্টার সঙ্গে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ তীব্র আকার নিয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে রাখাইন প্রদেশে আরাকান আর্মির সঙ্গে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে। গত বছর প্রদেশের ১৭টির মধ্যে ১৪টি শহরের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। ফলে সামরিক বাহিনী নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষের উপর আঘাত হানছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেখুন আরও খবর: