ওয়েবডেস্ক: স্টিফেন মিরান (Stephen Miran) হার্ভার্ডের অর্থনীতিবিদ। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক (Tariff) নীতির পিছনে তিনিই। মার্টিন ফেল্ড স্টেইন। যিনি রোনাল্ড রেগন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কাউন্সিল অফ ইকনমিক অ্যাডভাইসারের মাথায় ছিলেন। তাঁর হাতেই তৈরি মিরান। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ডোনাল্ড ট্রাম্প স্টিফেন মিরানকে বেছে নিয়েছিলেন। তাঁকে কাউন্সিল অফ ইকনমিক অ্যাডভাইসার্সের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেন। তিনি ট্রাম্পের এই চড়া শুল্ক চাপানোর নীতির সমর্থক। ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হাডসন বে ক্যাপিটালে সিনিয়র স্ট্র্যাটেজিস্ট ছিলেন।
ট্রাম্পের নয়া শুল্ক নীতির সমর্থনে মিরান বলেন, আমাদের ভেঙে যাওয়া শিল্পের ভিত্তিকে পুনর্গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। ব্যবসায়িক শর্তকে এমন করেছেন যাতে আমেরিকার কর্মী ও ব্যবসায়ীরা আগে সুযোগ পান। আমাদের সামরিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখতে ট্রাম্প প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে ৭ এপ্রিল তাঁর বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। ওই দিনই চীনের উপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের মধ্যেই প্রেম! জিনপিংয়ের প্রশংসা করলেন ট্রাম্প
মিরান বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৫ সালে স্নাতক সম্পূর্ণ করেন। অর্থনীতি, দর্শন ও অঙ্কে তাঁর ডিগ্রি রয়েছে। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। গত নভেম্বের মিরান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থা্কে পুনর্গঠন করার জন্য ৪১ পাতার একটি নোট লেখেন। উল্লেখ্য, বুধবার রাতে ট্রাম্প তাঁর রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। তবে রেহাই দেননি চীনকে।
দেখুন অন্য খবর: