কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার নির্বাচনকে ঘিরে ভারত নাক গলাচ্ছে, এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। এক টুইটে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ অনুমান নির্ভর সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। নির্বাচনে সেদেশের রাজনৈতিক নেতাদের উপর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। টুইটে বলা হয়েছে, এসব প্রচার মিথ্যা। আমরা এটা অস্বীকার করছি। কারও মস্তিষ্কপ্রসূত কল্পনা ছাড়া এরকম খবর ছড়াতে পারে না।
বুধবার নির্বাচনকে ঘিরে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। এদিন ২ জন এমপি ভোটদানে বিরত ছিলেন, এছাড়া সকলেই ভোটদান করেছেন। এমনকী পার্লামেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ডালাস আল্লাহপেরুমা এবং বামপন্থী নেতা অনুরা দিশানায়কের লড়াই হয়েছে। উল্লেখ্য, এর মধ্যে ডালাসকে প্রধান বিরোধী দলনেতা সাজিথ সরাসরি সমর্থন ঘোষণা করেছিলেন।
নির্বাচন শুরুর আগে দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাস প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, আমাদের দেশে যে দলেরই প্রার্থী জিতুন না কেন, ভারত সরকার যেন তাদেরই সমর্থন করে। তিনি আরও লিখেছেন, ভারতের জনগণের কাছে তাঁর বিনীত আর্জি যে, যিনিই প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসবেন, তাঁকেই যেন নয়াদিল্লি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। কেননা ভারতের সাহায্য ছাড়া দেশের চলতি সঙ্কট থেকে মুক্তির কোনও উপায় নেই।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, প্রেমদাস এবং ডালাস রাতারাতি নিজেদের মধ্যে অলিখিত চুক্তি করেছেন। যেখানে একজন প্রেসিডেন্ট হলে, অন্যজন প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন। যদিও রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, যিনি ৬ বারের প্রধানমন্ত্রী, তাঁর দিকেও এসএলপিপির বহু এমপির সমর্থন রয়েছে। ৭৩ বছর বয়সি বিক্রমসিঙ্ঘের রাজনৈতিক কৌশল ও বিচক্ষণতা এঁদের অনেকের থেকেই বেশি। তাহলেও দেশজুড়ে বিক্রমসিঙ্ঘে-বিরোধী হাওয়া জোরাল হওয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি জয়ী হলেও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকেই গেল।